তাঁর নেতৃত্বে ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছে সাংগঠনিক শক্তি। পুর নির্বাচন থেকে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন সবেতেই ভরাডুবি হয়েছে। এই অভিযোগে ফেসবুকে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের পদত্যাগ চাইলেন ওয়ার্ড তৃণমূল যুব সভাপতি রঞ্জিত ঘোষ।
তৃণমূলের যুব নেতার অভিযোগ, দল দুর্বল হয়ে পড়ছে দেখেও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সেভাবে। সেক্ষেত্রে সমস্ত দায়ভার জেলার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব তথা জেলার সভাপতি গৌতম দেবের। বুধবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমনই অভিযোগ করেন ওয়ার্ড তৃণমূল যুব সভাপতি রঞ্জিত ঘোষ। শুধু অভিযোগ তুলেই খান্ত হননি তিনি। জেলা সভাপতির পদ থেকে গৌতম দেবকে সরে দাঁড়ানোর কথাও স্পষ্ট করেন তিনি। ঘটনার জেরে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অস্বস্থিতে পড়েছেন খোদ জেলার সভাপতিও।
নিমেষে উধাও বিনামূল্যের কন্ডোম, শিলিগুড়ির হাসপাতালে ফাঁকাই পড়ে বাক্স
বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিজেপির মিছিল, ধুন্ধুমার ধর্মতলা
আগে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস যে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল তা একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মেনে নিয়েছেন জেলার সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেব। তবে দল ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলেও একাধিক সময় দাবি করেছেন তিনি। যদিও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত ঘোষ তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জেলা সভাপতির ব্যর্থতা স্পষ্ট করেছেন।
সম্প্রতি দিদিকে বলো কর্মসূচি চালু হতেই জেলা সভাপতি গৌতম দেবের বিরুদ্ধে একপ্রস্থ অভিযোগও জানান রঞ্জিত। সেখানেও তিনি জেলা সভাপতির ব্যর্থতার বিষয়ে স্পষ্ট করেন। রঞ্জিতের দাবি ,সেখান থেকেও দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়ে সদুত্তর না পেয়ে অবশেষে ফেসবুক পোস্ট করেন তিনি। সেখানেই গৌতম দেবকে সোজাসাপটা জেলা সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন তিনি।
ভোটের ছ' মাস আগেই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের
বালুরঘাটের স্বাধীনতার ইতিহাস এবার বড় পর্দায়, পুজোর আগেই আসছে '১৮ অগাস্ট'
রঞ্জিত ঘোষ বলেন, দার্জিলিং জেলার সংগঠন সবচেয়ে দুর্বল। যদিও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সেভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না জেলা সভাপতির তরফে। সেক্ষেত্রে নেতৃত্বের বদল হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় আগামীতেও এই জেলায় কোন নির্বাচনেই জয়ের মুখ দেখতে পাবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
এবিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দেবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কারও কিছু বলার থাকলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানাতে পারেন। স্যোশাল মিডিয়ায় দলের বিষয় তুলে ধরা ঠিক নয়।