আবারও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। করোনা থেকে বাঁচতে তাই সকলকে তাই মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এদিকে রাজ্য জুড়ে চলছে বিধানসভা নির্বাচনের কর্মসূচী। ফলে আরও বেশি পরিমানে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমন এক পরিস্থিতিতে কীভাবে গর্ভবতী মহিলারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখবেন। নবজাতকদেরই বা কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন জেনে নিন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
রাজ্য়ে করোনা সংক্রমণ এবার ছাড়াল ৫০০ এর গন্ডী। বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের সংখ্য়া ৫১৬ জন এবং যার মধ্য়ে ১৬৭ জন কলকাতার বাসিন্দা। এদিকে আচমকা নতুন করে করোনা ঢেউয়ে ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। ওদিকে ভ্যাকসিন নিয়েও বিভ্রান্তি। ভ্য়াকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও করোনায় আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী। কোভিডের কী কী ছবি উঠে এসেছে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে, দেখুন ছবিতে -ছবিতে।
দেশে আবার উর্দ্ধমুখী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের বহু অঞ্চলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নাইট কার্ফু। এর মধ্য়ে দেশ জুড়ে চলছে করোনার টিকাদান। তবে এমন পরিস্থিতিকে সামাল দিয়ে এবং টিকাকরণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করতে ১ এপ্রিল থেকে বদল আসতে চলেছে করোনা টিকাকরণের নিয়মে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ১ এপ্রিল থেকে করোনভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। তিনি বলেছিলেন যে কোভিড এবং বিশেষজ্ঞদের টাস্কফোর্সের পরামর্শের ভিত্তিতে মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন এমন ৪৫ বছরের বেশি ব্যক্তিদের টিকা দেওয়াা হচ্ছিল। তবে ১ এপ্রিল থেকে সমস্ত ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীরাও টিকা নিতে পারবেন।
কলকাতা তথা রাজ্য নতুন করল ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের সংখ্য়া ৪৬২ জন এবং যার মধ্য়ে ১৫৩ জন কলকাতার বাসিন্দা। সবথেকে বড় কথা করোনায় প্রভাব পড়েছে কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগণা ছাড়াও একাধিক জেলায়। আচমকা নতুন করে করোনা ঢেউয়ে উদ্বেগের মুখে চিকিৎসকেরা।
ভোট নিয়ে মেতে গোটা পশ্চিমবঙ্গ
আর অলক্ষ্যেই ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনাভাইরাস
ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যু
১৯ জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে লাল রঙ দিয়ে
কোভিড ১৯ (Covid-19) টিকাদানের দ্বিতীয় পর্ব চলছে। প্রচুর মানুষ ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদিকে, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (Centers for Disease Control and Prevention) CDC জানিয়েছে যে কোভিড ১৯ (Covid-19) ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের চেয়ে বেশি তীব্র হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্যকর প্রমাণের জন্য কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ প্রয়োজন। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছিলেন যে, কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি অ্যান্টি-বডি তৈরি করে এবং প্রতিরক্ষা তৈরি শুরু করে, যখন দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজ পরে উত্পাদিত সুরক্ষা জোরদার করার দিকে কাজ করে।