সংক্ষিপ্ত
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ধোনি
- প্রাক্তন অধিনায়ক প্রসঙ্গে নানা ঘটনা বলছেন সতীর্থরা
- অবসরের পর কতটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ধোনি
- সেই কথাই জানালেন ভারতীয় দলে ধোনির প্রাক্তন সতীর্থ
নিজের আবেগ কোনও দিনও খুব একটা প্রকাশ করেননি সদ্য অবসর প্রাপ্ত প্রাক্তন ভারত অধিনায় মহেন্দ্র সিং ধোনি। সর্বদা থেকেছেন নির্বিকার। তা সে টি২০ বিশ্বকাপ জয় হোক, ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় হোক আর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। কিন্তু ধোনির মধ্যেও যে আবেগ কাজ করে তা দেখিয়েছিল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমি ফাইনাল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান আউট হওয়ার পর ধোনির চোখে জল দেখেছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। তবে সেটা প্রথম নয়, এরম ধোনির আবেগের বহিঃপ্রকাশের আরও একটি ঘটনার কথা জানালেন ধোনির সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ভারত তথা বিশ্বের সফলতম অধিনায়ক বিদায় জানানোর পর, ধোনি প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব শো-তে কথা বলেন অশ্বিন। সেখানেই অশ্বিন ধোনির টেস্ট কেরিয়ার থেকে অবসরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। ২০১৪ সালে মেলবোর্ন টেস্টে ধোনির সঙ্গে ম্যাচ ট্র করার লক্ষ্যে ব্যাট করছিলেন অশ্বিন। ম্যাচের শেষে তিনি একটা স্টাম্প তুলে জানিয়েছিলেন তিনি শেষ করলেন। অশ্বিন ধোনির টেস্ট অবসর ঘোষণার পর টিম হোটেলের ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,'আমার মনে আছে, যখন ২০১৪ সালে ধোনি টেস্ট থেকে অবসর নেয়, মেলবোর্নে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য আমি ওর সঙ্গে ব্যাট করছিলাম। ম্যাচের শেষে ও একটা স্টাম্প তুলে নেয় এবং বলে, ও শেষ করল। ওর কাছে অত্যন্ত আবেগঘন মুহূর্তে ছিল সেটা। সেদিন সন্ধ্যায় আমি, রায়না আর ইশান্ত শর্মা ওর ঘরে বসেছিলাম। ও তখনও ওর টেস্ট জার্সি পরেছিল। আসলে ধোনি সারারাতই জার্সিটা পরেছিল। ওর চোখে কয়েকফোঁটা জলও দেখেছিলাম।'
আরও পড়ুনঃনা সচিন, না সৌরভ, ভারতের ইতিহাসে প্রথম এই সম্মান পেতে চলেছেন ধোনি
আরও পড়ুনঃধোনি আবেগের কাছে হার মানল কাঁটাতারও, ক্রিকেট মাঠকে বিদায় জানালেন 'বসির চাচা'
১৫ অগাস্ট আন্তর্জতিক ক্রিকেটকেও বিদায় জানানোর দিন শোনা যায় রায়নাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলেন ধোনি। তাছাড়া ধোনি যে তার পোস্টি শেয়ার করেছিলেন তাতেও আবেগে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মুকেশের 'মে প্যাল দো প্যালকা শায়ের হু' গানের সঙ্গে নিজের গোটা কেরিয়ারের ছবি কোলাজ করে শেয়ার করেছিলেন ধোনি। পুরো ভিডিও দেখলে শুধু ধোনির আবেগ নয়,যে দেখবেন সেও আবেগ প্রবণ হয়ে পড়বেন। আর অশ্বিন যে ঘটনার উল্লেখ করেছেন তার থেকেই বোঝা যায় যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানের সময়ও কতটা কঠিন বাস্তবের সামনে দাঁড়াতে হয়েছে ধোনিকে।