সংক্ষিপ্ত
- ফের বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়াল পিসিবি
- পরপর দুটি বিশ্বকাপ রয়েছে ভারতের মাটিতে
- পকিস্তান দল ভারতে খেলতে আসলে কোনও সমস্যা হবে না
- বিসিসিআইয়ের কাছে তার লিখিত গ্যারান্টি চাইল পাক ক্রিকেট বোর্ড
২০২১ ও ২০২৩ পরপর দুটি ক্রিকেট বিশ্বকাপ রয়েছে ভারতের মাটিতে। ২০২১ অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আর ২০২৩-এ ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। কিন্তু বিশ্বকাপের অনেক আগেই থেকে ফের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে সরব পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআইয়ের উপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি এখন থেকে বিভিন্ন ধরনের দাবিদাওয়া জানাতে শুরু করে দিয়েছে পিসিবি। শুধু তাই ভারতে খেলতে আসার জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে লিখিত আশ্বাস চেয়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। যেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ফের আবহাওয়া গরম হয়েছে দুই দেশের বোর্ডের আধিকারিকদের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃভারতের প্রথম বিশ্বজয়ের ৩৭ বছর, ফিরে দেখা গৌরবের ইতিহাস
আর আগে ভারতে বিশ্বকাপ পাকিস্তাবন বয়কট করতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। যদিও পরে সেই আশঙ্কা দূর হয়। তবে বুধবার পিসিবির তরফ থেকে আইসিসির কাছে দাব জানানো হয়েছে যে, পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে পাকিস্তান দলের নিরাপত্তার বিষয়ে লিখিত আশ্বাস দিতে হবে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে পিসিবি সিইও ওয়াসিম খান জানিয়েছেন,'ভারতে দুটো বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। আমরা আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছি বিসিসিআইকে লিখিত আশ্বাস দিতে হবে যে, আমরা ওখানে গিয়ে ভিসা-ক্লিয়ারেন্স সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পড়তে চাই না।'
আরও পড়ুনঃজন্মদিনে ধোনিকে নতুন গান উপহার দিতে চলেছেন ডিজে ব্রাভো
আরও পড়ুনঃআজ ম্য়ান সিটি আটকে গেলেই স্বপ্নপূরণ হবে লিভারপুলের
পিসিবি সিইও একটা জিনিস পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটার, অফিসিয়ালদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পূর্ণ আশ্বাস পেলেই টিম ভারতে যাবে। এত তাড়াতাড়ি লিখিত আশ্বাস চাওয়ার কারণও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় ইদানীং পাকিস্তানের অনেক স্পোর্টস টিম ভারতে আসার ক্লিয়ারেন্স পায়নি। তাই বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে এখনই লিখিত আশ্বাস চাইছে পিসিবি। পিসিবির এই দাবি নয়া বিতর্কের সৃষ্টি করলেও, বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এর আগে বুধবারই পিসিবি জানিয়ে দিয়েছেল শ্রীলঙ্কা বা ইউএই-তে চলতি বছরে এশিয়া কাপ হবেই। এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আইপিএলকে আটকাতেই এশিয়া কাপকে হাতিয়ার করেছে পিসিবি। ফলে একের পর এক নানাভাবে চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী দেশ বিসিসিআইকে সমস্য়া ফেলার চেষ্টা করছে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।