সংক্ষিপ্ত
স্তন্য পান নিয়ে প্রতিটি মেয়ের মনে নানান ধারণা আছে। অনেকে স্তন্যপান করাতে চান না। আবার কীভাবে এই সময় বাচ্চার খেয়াল রাখবেন, তা অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। তবে, বাচ্চা ও মা উভয়ের সুস্থ থাকার জন্য স্তন্যপান করানো দরকার। তবে, এই সময় নতুন মায়েরা মাথায় রাখুন বিশেষ কয়টি জিনিস। মেনে চলুন এই পাঁচটি টিপস।
গর্ভাবস্থ থেকে সন্তানের জন্ম পর্যন্ত সব মেয়েদের থাকতে হয় নির্দিষ্ট নিয়মে। তেমনই সন্তানের জন্মের পরও এই দায়িত্ব আরও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে, সন্তান যতদিন স্তন্যপান করে ততদিন মা-কে চলতে হয় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। স্তন্য পান নিয়ে প্রতিটি মেয়ের মনে নানান ধারণা আছে। অনেকে স্তন্যপান করাতে চান না। আবার কীভাবে এই সময় বাচ্চার খেয়াল রাখবেন, তা অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। তবে, বাচ্চা ও মা উভয়ের সুস্থ থাকার জন্য স্তন্যপান করানো দরকার। তবে, এই সময় নতুন মায়েরা মাথায় রাখুন বিশেষ কয়টি জিনিস। মেনে চলুন এই পাঁচটি টিপস।
বাচ্চা যতদিন স্তন্যপান করে তত দিন মায়ের উচিত অ্যালকোহল ও সিগারেট থেকে দূরে থাকা। এই দুই দ্রব্য শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই কথা আমরা সকলেই জানি। তা জেনেও বহু মেয়েরা মদ্যপান করেন ও সিগারেট খান। তবে, সন্তান জন্মের পর মা ও বাচ্চা দুজনের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিকোটিন থেকে দূরে থাকা দরকার। তাই ভুলেও খাবেন না এই দুই জিনিস।
তেমনই যতটা পারবেন কম খান জাঙ্ক ফুড ও প্রসেসড ফুড। এই দুই খাবার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। এতে থাকা অধিক নুন ও চিনি মা ও বাচ্চা উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তেমনই যতটা পারবেন কম খান চিনি ও নুন।
বাচ্চাকে ব্রেস্টফিডিং করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। এক্ষেত্রে সময় নিয়ে বাচ্চারে খাওয়ান। এই সময় বাচ্চার পেট না ভরলে তার পুষ্টি অপূর্ণ থেকে যাবে। তাই নতুন মায়েরা মাথায় রাখুন বিশেষ এই জিনিস।
ব্রেস্ট ফিডিং-এর সময় ব্যথা বা অস্বস্তি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক মায়ের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় এমন সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। এতে বাচ্চা ও মা উভয়ে ক্ষতি হয়।
বাচ্চা যতদিন স্তন্যপান করছে, তত দিন প্রচুর জল খান। এমনিতেও সুস্থ থাকতে রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খাওয়া দরকার। আর এই সময় অবশ্যই প্রচুর জল খান। অনেক মায়েরা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন। এই অবস্থায় ব্রেস্ট ফিডিং করানো মা ও বাচ্চা উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রচুর জল খান। বাচ্চা যতদিন ব্রেস্ট ফিডিং করেন ততদিন নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করুন। পুষ্টিকর খাবার রাখুন তালিকায়।
আরও পড়ুন- অধিকাংশ দিনই ব্রেকফার্স্ট খেতে ভুলে যাচ্ছেন? অজান্তে শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ
আরও পড়ুন- গর্ভাবস্থায় গ্রিন টি খাওয়া কি নিরাপদ? জেনে নিন এটি হবু মায়ের শরীরে কী প্রভাব ফেলে