সংক্ষিপ্ত
প্রতি ৮ জন মহিলার মধ্যে একজন মহিলা থাইরয়েডে (Thyroid) আক্রান্ত। আর এই রোগ দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে হতে পারে থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer)। জেনে নিন এই রোগের ইতি-বৃত্তান্ত।
খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, পর্যান্ত ঘুমার অভাব, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত আজ সকলে। জীবনযাত্রার এমন পরিবর্তনের জন্য একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে। এর মধ্যে ডায়াবেটিস (Diabetes), হাই প্রেসার (Pressure), কোলেস্টেরলে যেমন আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তেমনই থাইরয়েডে (Thyroid) আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এই রোগ একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। গবেষণায় জানা গিয়েছে, প্রতি ৮ জন মহিলার মধ্যে একজন মহিলা থাইরয়েডে (Thyroid) আক্রান্ত। আর এই রোগ দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে হতে পারে থাইরয়েড ক্যান্সার। জেনে নিন এই রোগের ইতি-বৃত্তান্ত।
থাইরয়েড (Thyroid) গ্ল্যান্ড আমাদের স্বরগ্রন্থির ঠিক নীচে থাকে। এটি শরীরের বিভিন্ন বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এই থাইরয়েড গ্রন্থিতে টিউমার (Tumor) সৃষ্টি হলে, তার থেকে হতে পারে থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer)। চার ধরনের থাইরয়েড ক্যান্সার আছে। প্যাপিলারি, ফলিকুলার, মেডালারি ও অ্যানাপ্লাস্টিক। তবে, ঠিক কী কারণে থাইরয়েড ক্যান্সারে (Thyroid Cancer) আক্রান্ত হচ্ছেন তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। তবে, গবেষণা বলছে দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, স্থূলতা, ক্রনিক হেপাটাইসিস সি থেকে থাইরয়েড ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
থাইরয়েড ক্যান্সারের উপসর্গ- থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer) শরীরের বাসা বেঁধেছে কি না, তা বোঝা যায় কয়টি লক্ষণ থেকে। প্রথমত, খাবার গিলতে অসুবিধা হলে, শ্বাস নিতে সমস্যা হলে সতর্ক হন। যদি হঠাৎ দেখেন গলায় কোনও মাংস পিন্ড দেখা দিচ্ছে তাহলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। এছাড়া, সারা বছর হালকা কাশি, অনিয়মিত ঋতুচক্র (Periods), ঘাড়ে ও গলায় ব্যথার সমস্যা থাইরয়েড ক্যান্সারের (Thyroid Cancer) লক্ষণ হতে পারে। তাই সময় থাকতে ডাক্তারি পরামর্শ নিন, তা না হলে সমস্যা বড় আকার নেবে।
আরও পড়ুন: Health Tips: এই কয়টি খাবার থেকে বাড়ছে ক্যান্সারে ঝুঁকি, জেনে নিন কী কী খাওয়া ক্ষতিকর
চিকিৎসা- মূলত ৪০ থেকে ৪৫ বছরের পর এই রোগ দেখা যায়। তবে, আজকাল ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে থাইরয়েড ক্যান্সার। মূলত, টি৪ (T4), টিএসএইচ (TSH) রক্ত পরীক্ষার দ্বারা এই রোগ নির্ণয় করা হয়। সঠিক সময় রোগ ধরা পড়লে তা নিরাময় করা সম্ভব। চিকিৎসকরার মূলত রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকেন। আবার অনেক সময় রোগীর অবস্থা বুঝে সার্জারিও (Surgery) করে থাকেন ডাক্তাররা। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সকল রোগ নিরাময় করা সম্ভব।