| Published : Jul 12 2021, 09:46 AM IST / Updated: Jul 12 2021, 10:01 AM IST
Live RathYatra 2021 : ভক্তদের ছাড়াই পুরীর রথযাত্রা, জারি রয়েছে কারফিউ
রথযাত্রার সময় প্রতিবছর পুরীতে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। রথের দড়ি টানার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সেখানে। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত দু'বছর সেই চেনা ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। এখন আর ভক্তদের ভিড় দেখতে পাওয়া যায় না। করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এখন ভক্তদের ছাড়াই রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। শুধু মন্দিরের সেবায়েতরাই অংশ নেন যাত্রায়। তাঁরাই টানেন রথের দড়ি। গতকাল রাত থেকেই পুরীতে জারি কারফিউ। মন্দির চত্বরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।
- FB
- TW
- Linkdin
গুণ্ডিচার মন্দিরের পথে বলরামদেবের রথ তালধ্বজ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নেই ভক্তরা। তাই রথ টানছেন সেবায়েতরাই।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে টান পড়ল জগন্নাথদেবের রথের দড়িতে। গুন্ডিচা মন্দির অর্থাৎ মাসির বাড়ির দিকে রওনা দিলেন জগন্নাথদেব।
এবারও ঘুরল না মহেশের চাকা। এবছর মাসির বাড়ি যাওয়া হবে না জগন্নাথ দেবের। এর বদলে নারায়ণ শিলাকে নিয়ে পায়ে হেঁটে ঘোরা হবে। তবে এই মাসির বাড়ি অস্থায়ী। সেখানেই আগামী কয়েকদিন রাখা হবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। মন্দিরের মধ্যেই যা তৈরি করা হয়েছে। বাংলার সবচেয়ে পুরোনো মহেশের রথের সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের আবেগ ভক্তি জড়িয়ে। প্রতি বছর বহু ভক্ত এই বিশেষ দিনে মহেশের রথ উপলক্ষে হুগলিতে উপস্থিত হয়ে থাকেন।
এবছর করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হলেও স্বাস্থ্য বিধির জেরে আজ সোমবার শতাব্দী ৩৫০ বছরের অধিক লালগোলা রাজ বাড়ির রথের দড়িতে আর টান পড়বে না ।স্বাভাবিক ভাবেই রথে চড়ে মাসির বাড়ি আর যাওয়া হচ্ছে না জগন্নাথ দেবের ।অবশ্য নিয়ম মেনেই জৌলুস এর সঙ্গে পূজা পাঠ করা হয় রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে ।
মন্দির থেকে বের করে নির্দিষ্ট রথে তোলা হল জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ভক্তদের দেখা দিলেন জগন্নাথদেব।
এবার ঘরে বসেই অর্ডার করলে পেয়ে যাবেন পুরীর ভোগের প্রসাদ। কিন্তু কীভাবে, ফোন করতে হবে বা হোয়াটস্ অ্যাপে মেসেজ দিতে হবে। পুরীর ভোগের প্রসাদের স্পেশাল মেনুতে থাকছে- খিচুড়ি, ডালমা, লুচি, পটল রসা, পাঁপড়, জিভে গজা, রসবালি, ছানাপোড়া। স্পেশাল মেনু অর্ডার দিতে যোগাযোগের নম্বর গুলি হল ৬২৯০ ২৫৫ ৮৫৯, ৮১৭০ ৮৮৭৭ ৯৪ এবং ৯১৬৩ ১২৩৫ ৫৬।
পুরীর রথযাত্রায় অংশ নিয়েছেন ৩ হাজার সেবায়েত ও ১ হাজার কর্মী। রথযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য তাঁদের সবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হয়েছে। নেগেটিভ রিপোর্ট ও করোনা টিকা নিয়েই উৎসবে সামিল হয়েছেন তাঁরা।