সংক্ষিপ্ত
ধর্ষণ করা হয়েছিল কিশোরী কন্যাকে। রাগের রেশ ধরে রাখতে পারলেন বাবা ও তাঁর মামা। মেয়ের ধর্ষককে খুন করে তার মরদেহ কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়ায়।
কথায় বলে, কন্যা সন্তানের সঙ্গে তাঁর বাবার আত্মার সম্পর্ক। আর সেই কন্যার যদি কেউ ক্ষতি করে মেজাজ বা মন শান্ত রাখা যে কোনও পিতার কাছেই একটি কঠিন বিষয়। এমনটাই হয় তো ঘটেছে মধ্যপ্রদেশ (Madhyapradesh) জেলার খাণ্ডোয়ায়। কন্যার ধর্ষককে খুন করে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এই দুই ব্যাক্তির হলেন একজন হলেন নির্যাতিতার বাবা এবং অপরজন হলেন তার মামা। অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার এবং সোমবার পুলিশ খবর পায় যে অজনল নদীতে একটি মুণ্ডহীন দেহ ভাসছে। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছায় পুলিশ এবং তদন্তের পর জানা যায় যে অজ্ঞাত ব্যাক্তির নাম ত্রিলোকচাঁদ, বয়স প্রায় ৫৫ বছর। শনিবার শেষবারের মতো দেখা গেছিল তাঁকে এরপর থেকে আর প্রকাশ্যে দেখা মেলে নি ওই ব্যাক্তির এবং অবশেষে সোমবার ওই ব্যাক্তির কাটা দেহ উদ্ধার হয় অজনল নদী থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে শুধু মুণ্ড নয় ওই ব্যাক্তির দেহটিকেও না কি কেটে ভাসানো হয়েছিল নদীতে।
আরও পড়ুন- ভিতরটা অবিকল হোটেলের ডিলাক্স রুম, নেপাল ভ্রমণে বিশেষ চার্টার্ড বগির ব্যবস্থা ভারতীয় রেলের
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে হিন্দুদের উপর নৃশংস অত্যাচার 'গণহত্যা', মেনে নিক ভারত, আবেদন মার্কিন সংস্থার
এসডিওপি রাকেশ পেন্ড্রো জানিয়েছেন, তদন্তের পর জানা গেছে যে এক কিশোরীকে ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগ রয়েছে ত্রিলোকচাঁদের বিরুদ্ধে এবং অভিযুক্ত দুই ব্যাক্তি হলেন নির্যাতিতার বাবা ও মামা। তিনি আরও জানান যে এই ঘটনার পর থেকেই না কি নির্যাতিতার বাবা ও মামা তক্কে তক্কে ছিলেন এবং অবশেষে শনিবার সুযোগ বুঝে সময় নষ্ট করেন নি তারা। বাইকে বসিয়ে ত্রিলোকচাঁদকে প্রথমে নদীর ধারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাঁর মুণ্ড কেটে, দেহটিকে দুইভাগে বিভক্ত করে তারপর নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের অনুমান যে খুন করার জন্য অভিযুক্তরা মাছ কাটার বটি ব্যবহার করেছিল। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আরও একটি টুইস্ট। পুলিশ (Police) এ ও জানিয়েছে যে নির্যাতিতার পরিবারের (সঙ্গে না কি খুন হওয়া ওই ব্যাক্তি অর্থাৎ ত্রিলোকচাঁদের একটি পারিবারিক সম্পর্ক ও আছে এবং এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। বর্তমানে গোটা ঘটনাটি তদন্তের অধীনে এবং সমস্ত বিষয়টি শুরু থেকে ভালো করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়ে গেছে।