সংক্ষিপ্ত
- হায়দরাবাদের পর ফের উন্নাও
- নির্যাতিতাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা
- তারপরেও কেউ এগিয়ে আসলেন না সাহায্য়ে
- দগ্ধ দেহেই শিউরে ওঠার মতো বয়ান দিলেন উন্নাও নির্যাতিতা
সারা দেশ যখন ধর্ষকদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সোচ্চার, তারমধ্যেই এক নির্যাতিতাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হল। উন্নাও কাণ্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ধর্ষকরা আজকের ভারতে কতটা বেপরোয়া। কিন্তু তার থেকেও কঠিন বাস্তব হল, নির্যাতিতাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি একজনও। দগ্ধ দেহের জ্বালা নিয়েই সাহায্য পেতে ২০ বছরের তরুণীকে পাড়ি দিতে হয়েছে এক কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা।
পুলিশের কাছে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা পাঁচ অপরাধীর নাম-সহ নিজের বয়ান নথিভুক্ত করেছেন নির্যাতিতা। সেই বয়ান একেবারে শিউরে ওঠার মতো। গত মার্চ মাসে নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই মামলারই শুনানির কাডজে এদিন রায় বরেলির এক আদালতে যাচ্ছিলেন। বিহার থানার অন্তর্গত সিন্দুপুর গ্রামে তাঁকে পাকড়াও করে অভিযুক্ত পাঁচজন। তাঁদের মধ্য়ে দুইজনের নাম রয়েছে ধর্ষণ মামলাতেও।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন সিন্দুপুর গ্রামের বাইরেই এক মাঠে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাঁকে বেধারক মারধর করে অভিযুক্তরা। তারপর বারংবার ছুরি চালিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। সবশেষে পেট্রল ঢেলে জালিয়ে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। এরপর তাঁকে ওই অবস্থাতেই ফেলে চলে যায় অভিযুক্তরা।
তারপর তিনি ৯০ শতাংশ দগ্ধ দেহেই সাহায্য়ের জন্য চিৎকার করতে করতে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দেন। কিন্তু, তাঁকে ওই অবস্থাতে দেখেও সিন্দুপুর গ্রামের একজনও তাঁর সহায়তায় এগিয়ে আসেননি। এরপর নির্যাতিতা নিজেই ১১২ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। তিনিই অ্যাম্বুল্যান্সের জন্যও ফোন করেন।
পুলিশ এসে প্রথমে নির্যাতিতাকে এক স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। পরে লখনউ-এর এক হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারি বার্ন্ট ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ খবর অনুযায়ী তাঁকে লখনউ থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনের চারজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এখনও মূল অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদী পলাতক। জানা গিয়েছে, দুইদিন আগেই সে জামিনে মুক্ত হয়েছিল। সিন্দুপুর গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের পুত্র সে।