সংক্ষিপ্ত
বেধড়ক মারধর এবং দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল এবার 'তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি'-র বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন দেবদত্ত মাঝি।
কলকাতায় ফের বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা এবং দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এবার 'তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি'-র বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন দেবদত্ত মাঝি। ঘটনার পর মুচিপাড়া থানায় যান তিনি এবং সজল ঘোষ। তবে এই মুহূর্তে পাওয়া খবরে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।
আরও পড়ুন, 'মুখ্য়মন্ত্রীর পছন্দের শিল্প লালবাজারে', গ্রেফতারির পর চপ-মুড়ি পেয়ে চটলেন অগ্নিমিত্রা
স্থানীয় সূত্রে খবর,১৫ অগষ্টে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি পর্ব চলছিল শিয়ালদহের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ক্লাব শিয়ালদহ মেন্স বেঞ্চের সদস্যদের। অভিযোগ, ঠিক তখনই প্রায় ২০০ জন দুষ্কৃতী তাদের ওপর চড়াও হয় এবং ভাঙচুর করে ক্লাব। ক্লাবের সদস্যদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। লুঠপাঠ করা হয় তাঁদের জিনিসপত্রও। অভিযুক্তরা শাসকদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি বলে দাবি ক্লাব সদস্যদের। বিজেপি করার অপরাধেই তাঁদের ওপর এই হামলা বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির মূলত ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা দেবাশীষ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ওরফে কান কাটা দেবু এবং তার শাগরেদদের বিরুদ্ধে। তারই দলবল এই তাণ্ডব চালায় বলে ক্লাব সদস্যদের অভিযোগ।
আরও পড়ুন, 'প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিরোধিতা করার শাস্তি', বহিষ্কৃত হতেই বিস্ফোরক BJP নেতা
এই ঘটনায় আহত হন ৩ জন। এই সংঘর্ষর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মুচিপাড়া থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ক্লাবে দিনে দুপুরে ভাঙচুর হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে থানার ভূমিকা নিয়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন আক্রান্তরা। অভিযোগ, পুলিশ এলাকায় থাকা সত্ত্বেও কোনও রকম হস্তক্ষেপ করেনি হামলার সময়। অভিযোগ, গতকাল রাতেও ওই ক্লাবের এক সদস্যের ওপর চড়াও হয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। আক্রান্ত ব্যাক্তি বলেছেন,' আমরা ক্লাবে বসেছিলাম। প্রতিবছর ওই আমাদের পতাকা উত্তোলন হয় আমাদের। তাই জন্যই যাবতীয় আয়োজন করছিলাম। আচমকাই অন্তত ২০০ জনের দল ক্লাবে এসে উপস্থিত হয়। অকথ্য গালিগালাজ করে, আমার নাম নিয়ে খোঁজা আরম্ভ করে। এবং আমি পরিচয় দিতেই, ওরা বলে তোমরা বিজেপির হয়ে দালালি করছ বলে মারধর আরম্ভ করে। লাঠি, বাঁশ, ইট, চেয়ার- যা পেয়েছে তাই দিয়ে মারধর করেছে। আমার অফিশিয়াল ব্যাগ ক্লাবে ছিল, সেই ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। আমার গলার চেন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।'
আরও পড়ুন, 'রাজ্যে CAA হলেই NRC-র অর্ধেক কাজ মিটবে', কেন্দ্র ইঙ্গিত না দিলেও দাবি দিলীপের
সিংহবাহিনীর প্রেসিডেন্ট দেবদত্ত মাঝি টুইট করে জানিয়েছেন, 'আমি এখন মধ্য কলকাতার মুচিপাড়া থানায় আছি। তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা ঘেরাও করে রেখেছে। কয়েকঘন্টা আগেই তৃণমূলের গুণ্ডারা এসে বিশাল সিংহের দোকান ভাঙচুর করে এবং তাঁকে মারধর করে। পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে এসেছে। আমি এবং সজল ঘোষ বিশাল সিংহের সমর্থনে এখানে উপস্থিত আছি।' সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেছেন, ' এই ঘটনায় পুলিশ শুধু নিরব দর্শক ছিল তাই নয়, যারা আক্রান্ত ছিল, তাঁদেরকেও গ্রেফতার করেছে।' কিন্তু তারপরেই ঘটনা মোড় নেয়। ইতিমধ্যে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে সরাসরি জানিয়েছেন,' পুলিশ আমার বাড়ি ঘিরে ফেলছে কারণ তারা আমাকে গ্রেপ্তার করবে। আমি জানতে চাই আমার অপরাধটা কী' বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস