সংক্ষিপ্ত
' বাংলার রাজনীতিতে এক বর্ণময় চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়', মন্ত্রীর প্রয়াণে মনে করলেন বাম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। শুক্রবার এই মুহূর্তে মন্ত্রীর দেহ শায়িত আছে রবীন্দ্র সদনে, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন রাজনৈতিক শীর্ষ নের্তৃত্বরা ।
'বাংলার রাজনীতিতে এক বর্ণময় চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)', মন্ত্রীর প্রয়াণে মনে করলেন বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। শুক্রবার এই মুহূর্তে মন্ত্রীর দেহ শায়িত আছে রবীন্দ্র সদনে । রাজনৈতিক শীর্ষ নের্তৃত্বরা এদিন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন রবীন্দ্র সদনে (Rabindra Sadan )।
সুব্রত প্রয়াণে সব অভিযোগ সরিয়ে ভাললাগার অন্যতম মুহূর্তগুলিতে ডুব দিলেন বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বললেন, 'আমাদের দলটাকে মাকু পার্টি বলেছেন সুব্রত। সত্তরের দশকে সিদ্ধার্থ জমানায় বামপন্থীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট কায়দায় অত্যাচার হয়। আমাদের খতম করার চেষ্টার অন্যতম অভিযুক্ত তিনিও। কিন্তু যখন মেয়র হলেন, তার ব্যবহারে আমরা সেব ভূলে গিয়েছিলাম। তিনি বাংলার রাজনীতিতে এক বর্ণময় চরিত্র। তিনি যখন মেয়র হন, আমি তখন মন্ত্রী। উন্নয়নের প্রশ্নে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেখেছিলাম। তবে পারস্পরিক ক্ষেত্রে মন্ত্রী বা মেয়রের সম্পর্ক নয়, বরং পারিবারিক সম্পর্ক ভাল ছিল। গল্প, আড্ডা, চর্চা হত।' পাশাপাশি এদিন রবীন্দ্র সদনে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, 'সুব্রত মুখোপাধ্যায় রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র। রসবোধ সম্পন্ন নেতা ছিলেন তিনি। ' উল্লেখ্য, সারেঙ্গাবাদ থেকে কলকাতায় ইতিহাস নিয়ে পড়তে এসেছিলেন সুব্রত। ভর্তি হয়েছিলেন বঙ্গবাসী কলেজে। স্নাতক স্তরে শেষ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। আর সেখানেই শুরু হয় নতুন অধ্যায়। কংগ্রেসের দাপুটে নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্যে তখন রাজ করছে কংগ্রেস। তার পাশে প্রহর গুণছিল বামেরা। এদিকে গুরু প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির দেখানো রাজনীতির পথে পরিণত হয়ে ক্রমশ উঠেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি বাংলার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের দিন ভয়ঙ্কর দিনগুলিতে তিনি বাংলারব মন্ত্রী ছিলেন। মাত্র ২৬ বছর বয়ছে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়েক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭২-র দিনগুলিতে রাজ্যের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। একটা সময় বাংলার কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে যোগদেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে সুব্রত মুখোপাধ্যায় কলকাতা পুরসভার মেয়র হন। কিন্তু তারপর থেকেই বেশ কয়েকটি কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। কলকাতা পুরভোটে আদালা জোট করে লড়াই করেন। তিনি জিতলেও তাঁর নেতৃত্বাধীন ডোট পরাজিত হয়। তারপর তিনি কংগ্রেসে ফিরে যান। কিন্তু ২০১০ সালে আবার তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন। তারপর আমৃত্যু সুব্রত মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিলেন। ২০১১ সালে রাজ্যের পালাবদলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। সেই ময় তিনি পঞ্চায়েত মন্ত্রী হন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকর দায়িত্ব থাকা জনস্বাস্থ্য দফতরেরও দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচবেও তাঁর কেন্দ্র বালিগঞ্জ থেকে জিতেছিলেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে