সংক্ষিপ্ত
- আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যই চিরন্তন
- তাদের এবারের থিম আবাহন
- সেই থিমেই ফুটে উঠেছে মণ্ডপসজ্জা
- তাই এবার আসতেই হবে শকুন্তলা পার্ক রেসিডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর দুর্গাপুজোয়
আকাশে বাতাসে আগমনীর সুর। আশ্বিনের শারদপ্রাতে প্রবল বৃষ্টি মাথায় নিয়েও কোথাও যেন ভেসে আসছে মায়ের আগমনবার্তা। বারোয়ারি এবং বনেদি বাড়ির পুজোগুলি তো বটেই, শারদ আনন্দে মেতে উঠেছে ফ্ল্যাটবাড়ি বা আবাসনের পুজোগুলিও। শহরের বুকে এখন আবাসনের ছড়াছড়ি। বারোয়ারি পুজোর ভিড়ে হারিয়ে না গিয়ে একেবারে স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তোলার লক্ষ্যেই বিগত কয়েক বছরে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে।
এমনই এক ফ্ল্যাটবাড়ির পুজো হল, শকুন্তলা পার্ক রেসিডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ফেস্টিভ কমিটির দুর্গা পুজো। তাদের এবারের থিম 'আবাহন'। কোনও সৃজনশীল কাজের বাহ্যিক সৌন্দর্য যতটাই পোক্ত হোক না কেন, তার মূল কাঠামোটিই যদি পোক্ত না হয়, তাহলে তার সমস্ত সৌন্দর্যই ব্যর্থ। তাই যেকোনও কাঠামো যাই হোক, ছোট কিংবা বড়, তার কাঠামোটি কিন্তু অবশ্যই পোক্ত হওয়া দরকার। তাঁদের ভাবনা দুর্গা পুজোর আয়োজনটিও অনেকটা সেইরকমই, তা বড় হোক বা ছোট মা-কে যদি ভক্তি ভরে আরাধনা করা হয়, তাহলে তাই হয়ে ওঠে চিরন্তন।
আরও পড়ুন- স্বস্তিক চিহ্নের সঙ্গে ছৌ-এর অপূর্ব মেলবন্ধন দেখতে আসতেই হবে জগাছা ইউথ কেয়ারের পুজোয়
আরও পড়ুন- পুজোতে গ্রামীণ জীবন শৈলীর নিদর্শন তুলছে ব্যান্ডেল অধিবাসীবৃন্দ
এই ভাবনাকে পাথেও করেই প্যান্ডেলের মুল যে উপকরণ বাঁশ, সেই বাঁশের সাহায্যেই ফুটিয়ে তোলা হবে অপুর্ব সব কারুকাজ। অসাধারণ এই থিমের নেপথ্যে রয়েছেন স্বপন দাস। এবার দ্বিতীয় বর্ষে পা দিল এই আবাসনের পুজো। এবারের তাদের পুজোর বাজেট প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। তবে এই স্বল্প পরিসরেই বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মে যেমন রক্তদান শিবির বা স্বাস্থ্য শিবিরেরও আয়োজন করেছেন তাঁরা।