সংক্ষিপ্ত

  • সন্তানের জন্ম খবর দিয়ে হাসপাতালের ফোন আসার দাবি জানায় পরিবার 
  • রাজ্যের দাবি, ওই অন্তঃসত্ত্বা সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগেই মারা গিয়েছেন 
  •   পরিবারকে ফোন করা হলেও কেউ দেহ নিতে না আসে দেহ দাহ করা হয়েছে  
  •  মামলা ওঠে হাইকোর্টে, রাজ্যেকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ 

সন্তানের জন্ম সুখবর দিয়ে হাসপাতাল থেকে ফোন আসার দাবি জানায় এক পরিবার। কারণ ফোন আসার কথাটা মেনে নেওয়া হলেও  কারণটা সেখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন,বলে অভিযোগ পরিবারের। রাজ্য সরকারের দাবি, ওই অন্তঃসত্ত্বা সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগেই অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন।  পরিবারকে ফোন করে সেই খবর জানানো হলেও কেউ দেহ নিতে আসেননি। তাই বেওয়ারিশ হিসেবে সেই মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে। এই ঘটনার পর মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সাত দিনের মধ্যে রাজ্যকে এই ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন, বেসরকারি বাস-মিনিবাসের কর মুকুব, নতুন ঘোষণা রাজ্য় সরকারের

 তরুণীর বাড়ির লোক স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, সন্তানের জন্মের খবর পেয়ে ফোন এসেছে হাসপাতাল থেকে। তরুণীর বাড়ির লোকজন সে কথা মানতে নারাজ। 'নিখোঁজ প্রসূতি ও সদ্যোজাত'-কে খুঁজে দেওয়ার দাবিতে তাঁরা অনড়। সেই দাবির ভিত্তিতে এপ্রিল মাসের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।  হাইকোর্ট সূত্রে খবর, অভিযোগকারী শঙ্কর রুইদাস হাইকোর্টে জানিয়েছেন, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে আদুরি রুইদাসকে ১৫ এপ্রিল উলুবেড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁর শরীরে কোভিডের কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে হাওড়ার একটি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামলাকারীর আইনজীবী সুকান্ত চক্রবর্তীর অভিযোগ, ওই হাসপাতালে আদুরি সন্তানের জন্ম দেন। ২১ এপ্রিল শঙ্কর ফোন করেন ওই হাসপাতালে। সেখান থেকে জানানো হয়, প্রসূতি ও সদ্যোজাত, দু'জনেই সুস্থ। কিন্তু ওই হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হওয়ার কারণে সেখানে বাড়ির লোককে যেতে নিষেধ করা হয়। এর পর ৩০ এপ্রিল শঙ্কর রুইদাস পুনরায় ফোন করলে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁর মেয়ের করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়নি তাই মেয়েকে আবার উলুবেড়িয়া হাসপাতালেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 আরও পড়ুন, ফি বৃদ্ধি নিয়ে ফের বিক্ষোভ শহরে, গর্জে উঠল কলকাতার চিলড্রেন্স ফাউন্ডেশন স্কুলের অভিভাবকরা


  আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, পর দিন শঙ্কর উলুবেড়িয়া হাসপাতালে মেয়েকে দেখতে গেলে সেখানকার ওয়ার্ড মাস্টার তাঁর হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে জানান, ২০ এপ্রিল আদুরি মারা গিয়েছেন, তবে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে করোনা সংক্ররমণের কোনও সম্পর্ক নেই। এরপর প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া একটি দেহও শঙ্করকে দেখানো হয়। কিন্তু মুখ না-দেখে ওই দেহ নিতে অস্বীকার করেন শঙ্কর। তাঁর মেয়ের কোনও সন্তান হয়নি বলে হাসপাতাল জানানোয় ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করে কয়েকদিন পরেই থানায় অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি।  তাঁর অভিযোগ, থানা থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর পর তিনি হাওড়ার পুলিশ সুপারের (গ্রামীণ) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতেও কাজ না-হওয়ায় শঙ্কর রুইদাস শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাই এবার সাত দিনের মধ্যে রাজ্যকে এই ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

 

 

ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

   পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

  মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'

  অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস

কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের