সংক্ষিপ্ত

  • কোথাও গার্ডরেল, কোথাও বা বাঁশ দিয়ে বন্ধ কন্টেনমেন্ট জোনের রাস্তা  
  •  কেউ যাতে ঢুকতে বা বেরতে না পারেন,কড়া নজর রাখছে পুলিশ  
  • জরিমানা না করলেও পুলিশি ধমকের মুখে পড়েছেন মাস্কহীনরা 
  • প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থায় পাশে আছে কলকাতা পুলিশ  

 করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউনের নিয়ন্ত্রণবিধি কড়া ভাবে কার্যকর করতে পুলিশ রীতিমতো কঠোর ভূমিকা পালন করছে।করোনা-সংক্রমণ রুখতে কন্টেনমেন্ট জোনগুলোতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরও কড়া ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। আর এবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শীর্ষ পুলিশ কর্তারা রাস্তায় নামলেন। 

 

আরও পড়ুন, ব্য়াঙ্ক কর্মীদের সংক্রমণের হার বাড়ছে, পরিষেবা দেওয়া নিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি সংগঠনের

 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ অনুযায়ী কন্টেনমেন্ট জোনগুলোতে পুলিশি তৎপরতা জারি রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা থেকে কোথাও গার্ডরেল, কোথাও বা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোনের রাস্তা।  তেলেঙ্গাবাগানের কাছে অধরচন্দ্র দাশ লেনে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। কলকাতার পুলিশের তিন শীর্ষ আধিকারিক সেখানে স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মাস্কহীন কাউকে দেখতে পেলেই নেওয়া হচ্ছে কড়া ব্য়বস্থা।  ফুলবাগান ও উল্টোডাঙায় যে সমস্ত কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে, সেখানেও যান ওই তিন আধিকারিক। একই দৃশ্য বেলেঘাটার তারণকৃষ্ণ লেনের চাউলপট্টি রোডে। গলির মুখেই ব্যারিকেড। গোটা এলাকা কার্যত ঘর বন্দি। দোকানপাট ,বাজারঘাট সব বন্ধ।  উত্তরের মতো দক্ষিণেও আলিপুর, শরৎ বসু রোড, চক্রবেড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের নিয়ন্ত্রণবিধি কড়া ভাবে কার্যকর করছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা নিজে ওই সমস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। কনটেন্টমেন্ট জোন এলাকায় যাতে ২৪ ঘণ্টা কড়া পুলিশি নজরদারি থাকে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের যাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ, সেই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।

আরও পড়ুন, একই দিনে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রেকর্ড গড়ল রাজ্য, করোনায় আক্রান্ত ১০৮৮


কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করার আগে সেই সব জায়গায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। বিকেল পাঁচটা থেকেই চালু হয়ে যায় নয়া নিয়ন্ত্রণবিধি। আপাতত সাত দিনের জন্য ওই নিয়ন্ত্রণবিধি চালু হলেও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নতুন করে বিভিন্ন এলাকায় তা শুরু হতে পারে। ৭ দিন পর পর্যালোচনা করে সেই বিধিনিষেধ কোথাও কোথাও শিথিলও করা হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

 

 

   পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

  মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'

 করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক সেনা কর্তার, ফোর্ট উইলিয়ামের শোকের ছায়া

  অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস

কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের