সংক্ষিপ্ত

  • আনন্দপুরের সদ্যোজাতর রহস্যমৃত্যুতে উঠে এল হাড় হিম করা তথ্য়  
  • শিশুটির মৃত্যুর সময়,  তার সঙ্গে ঘরে শুধু ছিল তাঁর দেড় বছরের দাদা  
  • সদ্যোজাতর গলায় মিলেছে ছোট ছোট নখের দাগ-শ্বাসরোধ করে খুন 
  • ময়নাতদন্তের রিপোর্টের রহস্য ভেদের চেষ্টায় আনন্দপুর থানার পুলিশ 
     

আনন্দপুরের সদ্যোজাতর রহস্যমৃত্যুতে উঠে এল হাড় হিম করা তথ্য়।  ময়নাতদন্তের এই রিপোর্টই আনন্দপুরের তিনদিনের শিশুকন্যার মৃত্যুর মোড় ঘুরিয়ে দিল। কারণ, রিপোর্ট অনুযায়ী, শিশুটির খুনের পিছনে রয়েছে কোনও শিশু। গলায় ছোট ছোট নখের দাগ, শ্বাসরোধের চিহ্ন স্পষ্ট। ময়নাতদন্তের সেই রহস্য ভেদের চেষ্টায় আনন্দপুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন,আতঙ্কের দিন শেষ, আক্রান্তদের সাহায্য় করতে করোনাজয়ীদের নিয়ে কলকাতায় চালু 'কলসেন্টার'

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। আনন্দপুরে আদর্শনগরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে ওই পরিবার। শিশুটির বাবা বানতলার একটি চামড়ার কারখানায় কাজ করেন। কাজের ধারা অনুযায়ী তিনি কয়েক দিন পর পর বাড়ি ফেরেন। ওই বাড়িতে আরও কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকে। যে দম্পতির সদ্যোজাত 'খুন' হয়েছে, তাঁদের বছর দেড়েকের এক পুত্রসন্তানের পর এক কন্যার জন্ম হয় ফেব্রুয়ারিতে। আর শিশুটি জন্মানোর তিন দিনের মাথায় সব শেষ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্ত করার সময়েই অটোপসি সার্জেন তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছিলেন,  শিশুটির গলায় ছোট ছোট নখের আঁচড় রয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা না-ও হতে পারে, এমন ইঙ্গিত তখন দেন ওই ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।

আরও পড়ুন, আতঙ্কের দিন শেষ, আক্রান্তদের সাহায্য় করতে করোনাজয়ীদের নিয়ে কলকাতায় চালু 'কলসেন্টার'

 ময়নাতদন্তর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গলা টিপে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে। খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। যখন শিশুটি মারা যায়, সেই সময়ে তার সঙ্গে ঘরে শুধু ছিল তার দেড় বছরের দাদা। ফলে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তার ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করলেও দুর্ঘটনাবশত তিন দিনের সদ্যোজাতর উপর দেড় বছরের বাচ্চা ছেলেটি পড়ে যাওয়ার ফলে কিংবা খেলতে খেলতে তারই হাতে কোনও বিপত্তি ঘটার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। বোন জন্মানোর পর তার প্রতি দেড় বছরের দাদার আচরণ কী রকম ছিল, সেই সব বিষয়েও সবিস্তার তথ্য তার মায়ের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন। পাশাপশি এর পিছনে তৃতীয় ব্যক্তি থাকার সম্ভাবনা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
 

 

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

   পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

  মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'

  অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস

কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের