সংক্ষিপ্ত

ঘরেই সহজে কিমচি বানানোর পদ্ধতি শিখুন। এই কোরিয়ান খাবার এখন আপনার রান্নাঘরেও! বাঁধাকপি, মূলা, গাজর এবং মশলা দিয়ে তৈরি এই সুস্বাদু খাবারটি এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

কোরিয়ান খাবারের (Korean Food) কথা উঠলেই কিমচির নাম আসবেই। বাঁধাকপি এবং মশলা দিয়ে তৈরি এই খাবারটির স্বাদ অতুলনীয়। কিছুদিন ধরেই দেশে কোরিয়ান খাবারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। টকবকি থেকে শুরু করে কিমচি, সবাই খেতে চায়। শুধু তাই নয়, এখন অনেকেই এগুলো ঘরে বানানোর চেষ্টা করছেন। আপনি যদি কোরিয়ান খাবার পছন্দ করেন, তাহলে ঘরেই খুব সহজেই কিমচি বানিয়ে ফেলতে পারেন। চলুন, রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

কিমচি বানানোর উপকরণ (Kimchi ingredients list) 

চাইনিজ বাঁধাকপি

প্রয়োজনমতো নুন

১ টি মাঝারি আকারের মূলা (স্লাইস করা)

২ টি মাঝারি আকারের গাজর (স্লাইস করা)

৩-৪ টি কাঁচা পেঁয়াজ (কুঁচি)

এক মুঠো কাঁচা পেঁয়াজের পাতা (কুঁচি)

১ টি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ (পিউরির জন্য)

৬ টি রসুনের কোয়া (পিউরির জন্য)

১ ইঞ্চি আদা (পিউরির জন্য)

২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো

১ কাপ ভেজিটেবল স্টক

১ চা চামচ চিনি

কাঁচা মরিচের গুঁড়ো

কিমচি বানানোর সহজ পদ্ধতি (Easy Korean Kimchi Recipe) 

ধাপ ১- প্রথমে চাইনিজ বাঁধাকপি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নুন জলে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট। পাতা থেকে নুন ঝেড়ে ফেলার জন্য ৪-৫ বার ধুয়ে নিন যাতে ধুলো-ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। এবার জল ঝরিয়ে বাঁধাকপি আলাদা করে রাখুন।

ধাপ ২- বাঁধাকপি ধোয়ার পর, প্যানে চালের গুঁড়ো এবং ভেজিটেবল স্টক মিশিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। খেয়াল রাখবেন যেন প্যানে লেগে না যায়। কিছুক্ষণ পর এটি ঘন হয়ে যাবে এবং বুদবুদ ছাড়বে। এবার এতে চিনি মিশিয়ে ততক্ষণ নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি স্বচ্ছ হয়ে যায়।

ধাপ ৩- তৃতীয় ধাপে, পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা একসাথে ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এবার একটি পাত্রে পিউরি, চালের গুঁড়ো, মূলা, গাজর, কাঁচা পেঁয়াজ, নুন এবং কাঁচা মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে মশলা তৈরি করুন।

ধাপ ৪- এবার মশলা বাঁধাকপির পাতায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। প্রতিটি পাতায় মশলা ভালোভাবে লাগলেই কিমচির স্বাদ আসবে। এবার মিশ্রণটি এয়ারটাইট পাত্রে বন্ধ করে রুম টেম্পারেচারে দুই থেকে তিন দিন রেখে দিন। তিন দিন পর এটি খাওয়া যাবে। এটি খেতে অসাধারণ হয়। এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।