গরমকালে তুলসী বীজের দানা জলে ভিজিয়ে, তার সরবত খেলে কী হয় জানেন?
গরমকালে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। ফলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় এবং ডিহাইড্রেশন হয়।
- FB
- TW
- Linkdin
)
গরমকালে সবজা বীজ জল: বাইরে সূর্যের তেজ বাড়ছে। এই গরম সহ্য করা সহজ নয়। এই গরম সহ্য করতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াও খুব জরুরি। যা খুশি তাই খেলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে শরীরে গরমের সমস্যা দেখা যায়। বাড়িতে পাওয়া কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ড্রিংক পান করুন। তাদের মধ্যে সবজা বীজ প্রথম সারিতে রয়েছে। এই গ্রীষ্মে সারাদিন শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাহলে, এই সবজা বীজ জল কিভাবে পান করবেন? এর অন্যান্য উপকারিতাগুলো কী কী দেখে নেওয়া যাক।
বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে জলে ভেজানো সবজা বীজ খেলে অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরে হিটস্ট্রোকের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। এই বীজগুলিতে ফোলেট, নিয়াসিন, ভিটামিন ই-এর মতো পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এটি মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, এত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজা বীজ খেলে সুস্থ থাকা যায়।
গরমকালে সবজা বীজের উপকারিতা...
গরমকালে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। ফলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় এবং শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই এই সময় বেশি করে জল পান করা উচিত। অনেকেই গরম সহ্য করতে না পেরে ঠান্ডা পানীয় পান করেন। কিন্তু, এতে আরও অনেক সমস্যা হয়। তাই এর পরিবর্তে জলে ভেজানো সবজা বীজ খেলে যথেষ্ট।
সবজা বীজ খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইলেকট্রোলাইট এবং জলের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই, যখনই তেষ্টা পায়, এই জল পান করলেই যথেষ্ট। সবজা বীজে ভিটামিন এ, ই, কে-এর মতো ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রনের মতো খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এটি আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় জল এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। এই সবজা জল পান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও কমে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে।
এটি শরীরে জমে থাকা চর্বি (Fat) গলিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা ওজন কমাতে চান তারা ডায়েটে সবজা বীজ যোগ করতে পারেন। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শ্বাসকষ্টের (Respiratory problems) সমস্যা এড়াতে সবজা বীজের পানীয়ের সাথে সামান্য আদার রস ও মধু মিশিয়ে পান করুন।
সবজা বীজ কিভাবে খাবেন?
এক কাপ হালকা গরম জলে ২ চা চামচ সবজা বীজ প্রায় ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে উঠলে এবং আকারে বাড়লে, প্রতিটি কালো বীজের চারপাশে জেলের মতো তৈরি হবে। এখন আপনি এই বীজগুলি লেবুর রস, মিল্কশেক, নারকেল জল, স্মুদি, মাঠা, স্যুপের মতো বিভিন্ন পানীয়তে যোগ করতে পারেন।