পিরিয়ডের সময় ব্যথা এবং ক্র্যাম্প কমাতে পেইনকিলারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপায় বেছে নেওয়া যেতে পারে। এই প্রতিবেদনে আদা চা, ডার্ক চকোলেট, জোয়ানের জল, ড্রাই ফ্রুটস এবং হলুদ দুধের মতো কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে, যা প্রদাহ কমিয়ে দেয়।

পিরিয়ডের ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার: এটা সত্যি যে পিরিয়ডের সময় ব্যথা আমাদের কাজ, রুটিন এবং ঘুম, সবকিছু নষ্ট করে দেয়। কিন্তু প্রতিবার পেইনকিলার খাওয়া কোনো সমাধান নয়। কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে যা শরীরকে আরাম দেয়, ফোলাভাব কমায় এবং ক্র্যাম্প স্বাভাবিকভাবে শান্ত করে। আজ আমরা আপনাকে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতির কথা বলব, যার মাধ্যমে আপনি স্বাভাবিকভাবে পিরিয়ডের ব্যথা বা ক্র্যাম্প কমাতে পারেন।

১. আদা এবং আদা চা

আদার মধ্যে থাকা জিঞ্জেরল প্রদাহ কমায় এবং জরায়ুর পেশী শিথিল করে। পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে আদার কাথ বা গরম আদা চা পান করলে পেটের ব্যথা কমে এবং ফোলাভাব থেকেও মুক্তি মেলে।

২. ৭০% এর বেশি কোকো সহ ডার্ক চকোলেট

এটি শুধু ক্রেভিংই মেটায় না, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর হওয়ায় পেশী শিথিল করে। ডার্ক চকোলেট রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ক্র্যাম্প দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের সময় দিনে ১-২টি ছোট ডার্ক চকোলেটের টুকরোই যথেষ্ট।

৩. জোয়ানের জলের ঘরোয়া প্রতিকার

জোয়ানের জলে থাইমল নামক একটি যৌগ থাকে, যা গ্যাস, ফোলাভাব এবং ক্র্যাম্পিং কমায়। ১ কাপ গরম জলে ১ চামচ জোয়ান ফুটিয়ে পান করলে শ্রোণী অঞ্চলে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায় এবং পেটের পেশী শিথিল হয়।

৪. ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম

আমন্ড, কাজু, আখরোট এবং কিশমিশ—এগুলি সবই আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের চমৎকার উৎস। এগুলি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শ্রোণী অঞ্চলের পেশীগুলিতে শক্তি জোগায়, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ প্রদাহ কমায়।

৫. গোলমরিচ দিয়ে হলুদ দুধ

হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকর। হলুদ দুধে সামান্য গোলমরিচও মেশাতে পারেন, যা এর প্রভাব দ্বিগুণ করে দেয়। রাতে গরম হলুদ দুধ পান করলে ঘুমও খুব ভালো হয়।