সংক্ষিপ্ত
ফিফা র্যাঙ্কিং সবসময় শেষ কথা বলে না। ইরাকের জাতীয় ফুটবল দলের র্যাঙ্কিং ৭০ এবং ভারতের র্যাঙ্কিং ৯৮। তা সত্ত্বেও কিংস কাপের প্রথম ম্যাচে ইরাককে বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করল ভারত।
কিংস কাপের সেমি-ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ভারত-ইরাক ম্যাচ ২-২ হওয়ার পর টাইব্রেকারে হেরে গেল ভারত। ২ বার এগিয়ে গিয়েও জোড়া পেনাল্টিতে গোল হজম করে ভারত। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজের প্রথম শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ভারতের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু একটি শটও বাঁচাতে পারেননি। তার ফলেই হেরে গেল ভারত। তবে এদিন হেরে গেলেও, যথেষ্ট লড়াই করেছেন আনোয়ার আলি, আকাশ মিশ্ররা। ১৭ মিনিটে প্রথম গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন নাওরেম মহেশ সিং। সাহাল আবদুল সামাদের পাস থেকে গোল করতে ভুল করেননি মহেশ। এর ১০ মিনিটের মধ্যেই অবশ্য ম্যাচে সমতা ফিরে আসে। বনিয়ানের শট বক্সের মধ্যে সন্দেশ ঝিঙ্গানের হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় ইরাক। পেনাল্টি থেকে গোল করেন আলি করিম। প্রথমার্ধের শেষে ম্যাচের ফল ছিল ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের রং বদলে যায়। ৫১ মিনিটে মনবীর সিংয়ের পাস থেকে আকাশ মিশ্রর মাইনাস ইরাকের গোলকিপার জালাল হাসানের হাতে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। সেই সময় মনে হচ্ছিল ভারতীয় দল জয় পাবে। কিন্তু ৮০ মিনিটে ফের পেনাল্টি পায় ইরাক। এবারও ভুল করেন সন্দেশ। তিনি বক্সের মধ্যে ফাউল করেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে দ্বিতীয়বার সমতা ফেরান আয়মেন ঘাঢবান। এরপর টাইব্রেকারে ৪-৫ হেরে যায় ভারত।
টাইব্রেকারে ভারতের হয়ে প্রথম শট নিতে যান ব্র্যান্ডন। তিনি গোল করতে ব্যর্থ হন। তবে এরপর গোল করেন সন্দেশ, সুরেশ ওয়াংজাম, আনোয়ার ও রহিম আলি। গুরপ্রীত যদি একটিও শট সেভ করতে পারতেন, তাহলে সাডেন ডেথে গড়াত ম্যাচ। কিন্তু সেটা হল না।
এদিন ভারতীয় দল ২ বার এগিয়ে গেলেও, ইরাকেরই প্রাধান্য ছিল। বেশি আক্রমণ করেছে ইরাকই। ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ইরাক। বাশারের ফ্রি-কিক গুরপ্রীতের হাতে লাগার পর বারে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ বজায় রাখে ইরাক। তার ফলেই ভুল করে বসেন সন্দেশ। একাধিক সেভ করলেও, পেনাল্টি বাঁচানোর ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি গুরপ্রীত।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ইরাকের বিরুদ্ধে এদিন লড়াই করেছে ভারত, কিন্তু শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে জয় পেতে হলে উন্নতি দরকার। এখনও এশিয়ার ফুটবলে শক্তিশালী দল হয়ে উঠতে পারেনি ভারত। এশিয়ান গেমস বা এএফসি এশিয়ান কাপে আরও লড়াই করতে হবে।
আরও পড়ুন-
Emami East Bengal FC: জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে সহজ জয়, কলকাতা লিগে অপরাজিত ইস্টবেঙ্গল
Indian Super League: ২১ সেপ্টেম্বর শুরু আইএসএল, ২৮ অক্টোবর প্রথম কলকাতা ডার্বি
Mohun Bagan Supar Gaint : ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বদলা, সবুজ-মেরুন শিবিরে উচ্ছ্বাস