পেশাদার ধারাভাষ্যকার হলেও, আবেগ সামাল দেওয়া কঠিন। রবিবার মেলবোর্নে কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরকে দেখে সেটা বোঝা গেল।
রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রং বদলে দেয় বিরাট কোহলি-হার্দিক পান্ডিয়া জুটি। দল জেতার পর আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না হার্দিক। বিরাটকে দিলেন বিশেষ বার্তা।
ভারতের কাছে বিশ্বকাপে হেরে গেলেই টিভি ভাঙা পাকিস্তানে যেন রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। রবিবার ফের ভারতের জয়ের পরেও সেটা দেখা গেল।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপে বরবারই ভাল খেলেন বিরাট কোহলি। রবিবার মেলবোর্নেও ব্যতিক্রম হল না। ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন বিরাট।
স্ট্রোক-প্লে'-র ঝলকানি। আর তাতেই আট থেকে আশির হৃদয় জিতলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের একসময়ের 'ব্লু-আইড বয়।' বাদ গেলেন না খোদ নরেন্দ্র মোদীও।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই বা টি-২০ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচই হেরেছে ভারত। গত টি-২০ বিশ্বকাপে হারের বদলা নিলেন বিরাট কোহলিরা।
ন'য়ের দশকের শুরুতে ভারতীয় দলের একমাত্র ভরসা ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। পরবর্তীকালে শক্তিশালী হয়েছে দল। উত্তরসূরিদের সাফল্য দেখে উচ্ছ্বসিত মাস্টার ব্লাস্টার।
বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার অভিজ্ঞতা, প্রয়োজনের মুহূর্তে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা এবং দক্ষতার কাছে হেরে গেল পাকিস্তান। ৪ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চাপের মুখে বারবার ভেঙে পড়ার ইতিহাস রয়েছে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপের। কিন্তু যেদিন বিরাট কোহলি খেলেন, সেদিন বিপক্ষই ভেঙে পড়ে।
রান না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে বিরাট কোহলিকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিয়ে দিলেন বিরাট।