২৭ ডিসেম্বরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য তিনশো বেড-এর একটি হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন যে, মেলায় কোভিড পরীক্ষা করানোর বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
পরিসংখ্যান বলছে এই বছর গঙ্গাসাগরে পূণ্য স্নান করেছেন ৩ লক্ষ ভক্ত। পাশাপাশি কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৬২ জন।
মেলা উপলক্ষে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। এদিকে পুণ্যস্নানের পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে চলছে কপিলমুনি মন্দিরের পুজো। সেখানেও ঢল নেমেছে ভক্তদের।
ভোর রাত থেকে সতর্কতার ছবি একেবারেই উধাও হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগরে। ভোরের আলো ফোটার আগে রাত থেকেই স্নান শুরু করে দেন বহু পুণ্যার্থী। আর ভোরের দিকে সমুদ্র সৈকতে আরও বাড়তে থাকে ভিড়।
গঙ্গাসাগর মেলা পরিদর্শন ফিরহাদ হাকিমের। সমস্ত ব্যবস্থা কতটা পাকা করা হয়েছে, সরেজমিনে তা দেখার জন্য এদিন গঙ্গাসাগরে পাড়ি ফিরহাদ হাকিমের।
পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ছে গঙ্গাসাগরে। এই মেলা করোনার সুপার স্প্রেডার হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকমহলের। এমনকী, হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনেই গঙ্গাসাগরে স্নান সারলেন বহু পুণ্যার্থী।
স্নানের উপর বিধিনিষেধ থাকলেও ভোর থেকেই গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গণে স্নান করছেন পুণ্যার্থীরা। ১ ও ২ নম্বর ঘাটে সেভাবে লোক সমাগম না থাকলেও তিন, চার, পাঁচ নম্বর ঘাটে ভিড় করতে শুরু করেছেন ভক্তরা।
রাজ্যজোড়া বিতর্কের মাঝেই কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি দিয়েছে। এমনকী নতুন করে পর্যবেক্ষক কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু এখনই সেখানে ভিড় উপচে পড়ছে বলে অভিযোগ।
বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগরে। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় জেলা প্রশাসন।
গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে যে বিপুল আয়োজন করা হচ্ছে, তা রাজ্যকে এক অতি মহামারির দিকে ঠেলে দেবেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিরোধীদের দাবি সস্তা রাজনীতি করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রাণের দামটুকু দিতে রাজি নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন।