সংক্ষিপ্ত
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের উদ্বোধন মঞ্চে অনুপস্থিত মিঠুন চক্রবর্তী। যা নিয়ে তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেলন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন রাজ্যে সিনেমাতেও রাজনীতির রং লেগেছে।
বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হলো কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। সেখানে নিমন্ত্রণ পেলেন না বা আসেননি মিঠুন চক্রবর্তী। যা নিয়ে শুক্রবার রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন তৃণমূলের জমানায় বাংলার সিনেমাতেও রাজনীতির রং লেগেছে। বাংলায় শুধু সিনেমা নয়, সবকিছু রাজনীতিতে চলে এসেছে বলেও দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন। দিলীপ ঘোষের কথায় 'যত ইনস্টিটিউট আছে সেখানে রাজনীতি হয়। এমনকি চিফ সেক্রেটারিয়েট পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস হয়ে গেছে। আমাদের ডাক তো পড়েই না চিফ সেক্রেটারি থেকে মুখ্যমন্ত্রী থেকে কোনও অফিসার অ্যাপয়েনমেন্ট দেয়না। একটা চিঠি নিয়ে গেলে কেউ নেয় না। বলে বাইরে টেবিলে রেখে দিন।' এটা আমাদের সঙ্গে এই সমস্যা চলছে। কেবল একটি পার্টির লোকরাই সরকারি সব সুবিধা পায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন একটা দলের লোকদেরও শুধু ডাকা হয়। সরকারি অনুষ্ঠানে তারাই যাবেন। অন্য পার্টির মানুষকে সেখানে ডাকা হবে না। আর যদি তার বিরোধী হয় তাহলে তার তো কোনো জায়গায় নেই। মিঠুন চক্রবর্তীকে অনুষ্ঠান মঞ্চে না দেখে এই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
অন্যদিকে অমিতাভ বচ্চনের মন্তব্য নিয়েও এদিন নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অমিতভাব বচ্চনের মন্তহ্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি রাজ্যের ভোট সন্ত্রাস নিয়ে মন্তব্য করেছেন। দিলীপ ঘোষের কথায় 'নিঃসন্দেহে এই ধরনের স্তরের লোকেরা যখন মন্তব্য করেন তখন সবার চিন্তা ভাবনা করা উচিত। একে তো ওনার যা বয়স সেই অভিজ্ঞতা একসময় তিনি রাজনীতিতেও এসেছেন। এই যে অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলছেন সেটা নিয়ে চিন্তা করা দরকার সবার।' দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দ্বিতীয় কথা পোস্ট পোল ভায়োলেন্স নিয়ে শুধু অমিতাভ বচ্চন নয় সারা দেশের মানুষ পরিচিত। কথা প্রসঙ্গে তিনি নির্মলা সিতারামণের কথাও তুলে ধরেন। কারণ দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন, গুজরাটে ইলেকশন হল। তাতেও বিরাট মার্জিনে জিতল বিজেপি। কিন্তু কোথাও কোনও ঝগড়া সন্ত্রাস মারামারি নেই। নেই গুলি বোমার আওয়াজ। রিগিংএর কমপ্লেন পর্যন্ত নেই। আর পশ্চিমবাংলায় পোস্ট পোল ভায়োলেন্স কি হয়েছে বাড়ি জ্বালানো মারপিট রেপ সব হয়ে গেছে।। উনি এটাই পার্থক্য দেখিয়েছেন। বাংলার যে রাজনৈতিক হিংসা সেটা সারা দেশ জানে।
যদিও কলকাতা চলচ্চিত্র উদ্বোধনে অমিত বচ্চন সেন্সরসিপ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'মঞ্চে উপস্থিত তাঁর সহকর্মী ও দর্শকরা একমত হবেন যে বর্তমানে নাগরিক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।' কথা প্রসঙ্গে অমিতাভ ব্রিটিশ সেন্সরসিপের নিপীড়ন বা নির্যাতনের উদাহরণের কথাও তুলে ধরেন। কিন্তু অমিতাভ বচ্চনের এই মন্তব্যকে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, অমিতাভ বচ্চনের কথাগুলির থেকে বেশি ভবিষ্যতসূচক আর কোনও কথা হতে পারে না। কারণ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই কথাগুলি বলেছেন। যা বলার জন্য সাহস লাগে। অমিত মালব্যর কথায় এই রাজ্যে গণতন্ত্র বা বাক স্বাধীনতা নেই। ভোটসন্ত্রাস তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
আরও পড়ুনঃ
৯ রাজ্য পার করে হিমাচলে রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা ১০০ দিন পুরণ
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলায় স্ক্রিপ্ট পড়ে তাক লাগালেন শাহরুখ, 'বাদশা' ম্যাজিকে মুগ্ধ গোটা বাংলা