সংক্ষিপ্ত

 রাজনীতি ভুলে তৃণমূল-বিজেপি একমঞ্চে। একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের ধর্না বিক্ষোভ মঞ্চে বিভিন্ন দাবি নিয়ে একসঙ্গে গেল শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের।


মালদা-তনুজ জৈন:- রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এসে এলাকার উন্নয়ন (Development)। তাই রাজনীতি ভুলে (TMC and BJP) তৃণমূল-বিজেপি একমঞ্চে। একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের ধর্না বিক্ষোভ মঞ্চে বিভিন্ন দাবি নিয়ে একসাথে দেখা গেল সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের। বর্তমান সময়ে বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূল-বিজেপি যুযুধান দুই পক্ষ। প্রত্যেক মুহূর্তে লেগে থাকে দুই দলের নেতাদের বাকযুদ্ধ। কিন্তু রাজনীতির প্রকৃত উদ্দেশ্য এলাকার উন্নয়ন। আর তার প্রতিফলন দেখা গেল (Malda) মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়।

আরও পড়ুন, By Election: উপনির্বাচনে প্রচারকদের তালিকায় নাম না থাকা না নিয়ে মুখ খুললেন বাবুল, নীরব নুসরত

জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর তুলসিহাটা ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মঞ্চ করে ধর্ণা এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। চারটি দাবি নিয়ে ছিল এদিনের এই বিক্ষোভ। দাবি গুলো হলো তুলসিহাটা ভবানীপুর ব্রিজ চত্বরে ওভারব্রীজের উভয় পাশে সার্ভিস রোডের বাস্তবায়ন, জায়গায় জায়গায় ভিউপি নির্মাণ, চৌরাস্তার মোড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু এবং আনুষঙ্গিক সৌন্দর্যায়ন। এই বিক্ষোভ মঞ্চে দেখা গেল হরিশ্চন্দ্রপুরের সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের। যাদের প্রত্যেকের স্পষ্ট বক্তব্য এলাকার উন্নয়নের জন্য একসাথে সকলের লড়াই চলবে। দরকার হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। ধর্ণা মঞ্চে একসাথে উপস্থিত ছিলেন, হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তজমুল হোসেন,জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন,তৃণমূল নেতা বুলবুল খান, জিয়াউর রহমান, ছাত্র তৃণমূল নেতা বিমান ঝাঁ, বিজেপি নেতা রূপেশ আগরওয়াল, দীপক ঋষি, সিপিআইএম ও কংগ্রেস নেতা সহ আরো অনেকে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটির সদস্যরা এবং এলাকাবাসী। ওভার ব্রিজের পাশে রয়েছে বাজার। রয়েছে অনেক ছোট বড় দোকান। তাই সার্ভিস রোড অবিলম্বে চালু না করলে অনেক সমস্যা তৈরি হবে। মূলত সেই দাবিতেই এদিন বিক্ষোভ এবং ধর্ণা প্রদর্শন হয়। 

আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: পুজোতে 'খেলা হবে', থিম বানিয়ে চমক ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতির

তৃণমূল নেতা বুলবুল খান বলেন, " জীবন-জীবিকার রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে আজ ধর্ণা এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন হল। ওভারব্রীজের দুইপাশে নিয়ম অনুযায়ী সার্ভিস রোড দরকার। দরকার হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে। সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুরবাসী একসাথে আন্দোলন করবে। এলাকার উন্নয়ন সব থেকে আগে।"বিজেপি নেতা রুপেশ আগরওয়ালা একই সুরে বলেন, " ওভার ব্রিজের কাছে মার্কেট রয়েছে। বীরেন্দ্র কুমার মার্কেট। ছোট বড় ব্যবসায়ীদের প্রচুর দোকান রয়েছে। তাই সার্ভিস রোড দরকার। সাথে আরও দাবি রয়েছে। সব কিছুর উপরে আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর বাসি। তাই এলাকার উন্নয়নের দাবিতে শামিল হয়েছি।"

 আরও পড়ুন, Sabyasachi Dutta: 'একজায়গায় বসতে পারবো না', সব্যসাচী ফিরতেই ক্ষুব্ধ সুজিত, কী বার্তা ফিরহাদের

জীবন-জীবিকার রক্ষা কমিটির সভাপতি মগরম আলী বলেন, " ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। ফলে ভবানীপুর ব্রিজের উপর ফ্লাইওভার হচ্ছে। কিন্তু তার উভয় পার্শ্বে সার্ভিস রোড হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাট বীরেন্দ্র কুমার মৈত্র বাজার এখানে। নির্মাণের ফলে সব গেট বন্ধ হয়ে গেছে। সমস্যায় পড়ছে প্রচুর ব্যবসায়ী। সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ম মানা হচ্ছে না। এইসব দাবি এর আগে আমরা এসডিও, ডিএম, দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারদের জানিয়েছিলাম। সমাধান না হওয়াই আজকে প্রতিবাদ।"সাধারণত প্রত্যেকদিন দেখা যায় বিভিন্ন ঘটনায় এক রাজনৈতিক দলের নেতা অন্য জনকে কটাক্ষ করছে। কিন্তু রবিবার দেখা গেল বিপরীত চিত্র। এলাকার উন্নয়নের জন্য সকলে এক মঞ্চে হয়ে নজির সৃষ্টি করল।

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

YouTube video player