সংক্ষিপ্ত

তিন দিনের জেলা সফরের আজ দ্বিতীয় দিন। সুন্দরবোন এলাকায় ঘুরে বেড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিশেগেলেন স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে। তাদের মাঝখানে তাদেরই রান্নাকরা খাবার খেলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

জেলা সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টাকিতে রয়েছেন মমতা। সেখানেই ঘুরে দেখের প্রত্যন্ত এলাকা। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর টাকির প্রত্যন্ত এলাকায় যান মমতা। সেখানে কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। দুপুরে গেস্টহাউসে ফেরেননি মমতা। তিনি প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের সঙ্গেই মধ্যাহ্নভোজন সারেন। দুপুরের মেনুতে সেরকম কোনও নামি দামি খাবার ছিল না। গ্রামের বাসিন্দাদের নিত্যদিনের খাবারই হাসি মুখে খেলেন। ওল-আলু দিয়ে ট্যাংরা মাছের ঝোল আর ভাতই খেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় তিনি তৃপ্তি করে তাদের হাতের তৈরি খাবার খান। মমতা বলেছেন, তিনি ঝাল একদমই খান না। কিন্তু এদিন সুস্বাদু খাবার খেলেন। স্থানীয় মহিলারা মমতাকে ঘিরে ধরে বসেছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মমতা আরও জানিয়েছেন , গত ১২-১৩ বছর তিনি দুপুরে ভাত খানন না। এদিনে তিনি তাঁর নিজের রুটিন ভেঙে স্থানীয়দের মাধে বসেই সাধারণ খাবার খেলেন।

অন্যদিকে এদিন তিনি মহিলাদার সঙ্গে কথা বলার সময় খেজুর পাতাও বোনেন। স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে রীতিমত গল্পও করতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। একাধিক মহিলা এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নিজের মনের কথা খুলে বলেন। মমতাও তা শোনেন। কথা প্রসঙ্গে রেশনের চালের প্রসঙ্গও ওঠে। মমতা প্রশাসনিক কর্তাদের রেশনের চালের মান আরও ভাল করতে পরামর্শ দেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যাহ্ন ভোজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টাইটার হ্যান্ডেল সেখানে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্থানীয় গ্রামের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়েছেন মমতা। দলের নেত্রী সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন। তিনি যে একজন সত্যিকারের নেত্রী তা তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন।

এদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি প্রাথমিক স্কুলেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কচিকাচাদের সঙ্গে সময় কাটান। স্কুলটি পরিদর্শন করেন। তিনি পড়ুয়াদের মধ্যে চকোলেট ও সফ্টটয়েস বিলি করেন। পরে হাসনাবাদের খুপুকুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে স্থানীয়রাও পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন মমতা। স্থানীয়রা নদী ভাঙেনের সমস্যার কথাও বলেন। স্থানীয়দের আশা মুখ্যমন্ত্রী তাদের কথা শুনে দ্রুত তা সমাধান করবেন।

রাজনৈতিক বিশেষদের একাংশের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদেন জনসংযোগের এক অনন্য নজির তৈরি করলেন। তিনি গ্রাম সফরে গিয়ে মিশে গেলেন স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে। যা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে লাগবে। গত বিধানসভা নির্বাচন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা ভোটারদের টার্গেট করতে শুরু করেছে। যার সাফল্যও পেয়েছে ভোটবাক্সে। পঞ্চায়েত ভোটেও সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল। যার অন্যতম কারিগত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ

ইছামতীর বুকে লঞ্চে ভ্রমণ মমতার, জেলা সফরে সম্পূর্ণ অন্য মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে

শ্রদ্ধাকে হত্যার মাত্র ১২ দিন পরেই সম্পর্ক, আফতাবের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ 'বান্ধবী'কে জেরা পুলিশের

সাবিত্রী মিত্রকে গ্রেফতার করার দাবি বিজেপির, রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের গেরুয়া শিবিরের