ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ জাপান। পূর্ব এশিয়ার এই দেশে ভূমিকম্প নিত্য ঘটনা। জাপানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ভূমিকম্পের জন্য সবসময় তৈরি থাকেন।
তাইওয়ান ও ভারতের পর এবার আমেরিকায় ভূমিকম্প! কতটা ক্ষয়ক্ষতি হল জানেন?
এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের মাটি। বৃহস্পতিবার রাতে জোরালো ভূমিকম্প অনুভূত হল হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায়।
শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করার পর, কর্তৃপক্ষ ওকিনাওয়ার দক্ষিণতম প্রিফেকচারের নিকটবর্তী উপকূলীয় অঞ্চলগুলি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। এর প্রতিবেশী দেশগুলোও এই ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পের কারণে ওয়াজিমা শহরে প্রায় পাঁচ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়, যার তীব্রতা মাপা হয় ৪। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।
ভূমিকম্পের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাস্তা ফেটে গেছে। ভূমিকম্পের জেরে জাপানের বিশালাকার বাড়ি গুলি অনেকটা সুপারি গাছের মতই দুলছে।
মঙ্গলবার ভোরবেলা পর্যন্ত মত ১১১ জন নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, তাঁদের উদ্ধারের জন্য ব্যাপকভাবে চেষ্টা শুরু করেছে চিনের প্রশাসন।
উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা ভূমিকম্পের খবর রটতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। নেপাল বিপর্যয়ের পর থেকেই ভয়ে কাঁটা তারা। ফিরে এসেছে ২০০৪ সালের সুনামির বিভীষিকাময় স্মৃতিও।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এখন কানপুর আইআইটি তাদের গবেষণার ভিত্তিতে জানিয়েছে নেপালের পর ভারতে পরবর্তী ভূমিকম্প কোথায় হতে চলেছে। তারা আরও জানিয়েছে, একই জায়গায় বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে, যা বড়সড় বিপদের ঘণ্টা বাজাতে পারে।
বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, হিমালয় অঞ্চলে 'যেকোনও সময়ে' একটি বিরাট বড় ভূমিকম্প আঘাত হানবে, কারণ, ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটটি উত্তর দিকে সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ তৈরি হবে।