ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার সিমলায় তাদের বাড়ির ছাদে আটকে পড়া পরিবারগুলোকে উদ্ধার করেছে। ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের পরে, এসডিআরএফ দল কিছু লোক আটকে থাকার তথ্য পায়, তারপরে তারা মানুষকে সাহায্য ও উদ্ধার করতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্য নেয়।
সাওয়ান সোমবার হওয়ায় সকাল থেকেই সামারহিলের শিব মন্দিরে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়। প্রবল বৃষ্টির কারণে সকাল সোয়া ৭টার দিকে ধাক্কাধাক্কিতে গাছসহ ভারী ধ্বস মন্দিরের ওপর পড়ে।
ইতিমধ্যেই হিমাচল প্রদেশে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন মানুষ। বিপদসীমায় বইছে সমস্ত পাহাড়ি নদী। নদীর জলস্তর এতও বেড়ে গেছে যে, আঞ্চলিক বাসিন্দাদের বাড়ির নলকূপ থেকে আপনাআপনিই জল বেরিয়ে আসছে।
সুখু শনিবার বলেছেন যে রাজ্যটি গত ৭৫ বছরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি এবং বন্যার বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে।
বিদ্যুতের ১৫২টি ট্রান্সফরমারও রাজ্য জুড়ে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে অনেক এলাকায় অন্ধকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, রাজধানী সিমলায়ও পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
আকস্মিক বন্যা হিমাচলের সর্বনাশ করেছে। এতে বাড়িঘর থেকে রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে। মান্ডি জেলার আউটের কাছে খোতি নালায় বন্যার খবরে মান্ডি-কুল্লু জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ আটকে পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছে না। ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি জাতীয় সড়ক 154-A তে তৈরি করা হয়েছিল যা চাম্বা এবং ভারমৌরকে পাঠানকোটের সাথে সংযুক্ত করে।
জোশীমঠের ভূমি অবনমনের মধ্যেই হিমাচল প্রদেশেও বহু বাড়িতে দেখা দিয়েছে ফাটল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।
১৪ জানুয়ারি ভোরে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা শহরে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সূত্রের খবর ধর্মশালার প্রায় ২২ কিমি এলাকা জুড়ে অনুভূত হয় এই ভূমিকম্প।
হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসের জয় বড় সাফল্য দেখছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই রাজ্যে দলের কোনও মুখ ছাড়াই নির্বাচনে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।