অনেক ক্লাবেরই বিল বেপত্তা, থানার তরফে এর কারণ জানতে চাওয়া হয়নি।পুজোয় ফের ৫০ হাজারের অনুদান দেওয়ার ঘোষণার পরেই উঠল উঠল প্রশ্ন।

সোমবার   খুঁটিপুজো দিয়ে এবছরের দুর্গোৎসবের শুভারম্ভ করেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। ইতিমধ্যেই বেহালা, বাদামতলা, ভবানীপুর সার্বজনীন সহ শহরের একাধিক জায়গায়  খুঁটি পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

কাশ ফুলের সঙ্গে দরজায় কড়া নাড়বে বলে অপেক্ষায় কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। সতর্কতা রেখেই রাখি বন্ধনের দিনেই খুঁটিপুজো দিয়ে  দুর্গোৎসবের শুভারম্ভ করতে চলেছে বাদামতলা আষাঢ় সংঘ।

১৯ তম মল্লরাজা জগতমল্ল তাঁদের আদি ভূমি জয়পুর থেকে বিষ্ণুপুরে শিকারের জন্য এসেছিলেন। এখানে এসে স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তিনি। সেখানেই দেবী মৃন্ময়ীর দর্শন পেয়ে শুরু করেছিলেন দুর্গাপুজা। যা আজ থেকে প্রায় ১০২৪ বছর আগের কথা। 

করোনার কারণে  রাঙামাটি পুরুলিয়ার রাজবাড়িতে এবারেও হবে ব্যতিক্রমী দুর্গাপুজো।   ১৯৭০ সালে একদল ডাকাত হানা দেয় রাজবাড়ীতে, তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে রাজবাড়ীর দূর্গার স্বর্ণ বিগ্রহের নিরাপত্তা দিতে চালু হয় বিশেষ ব্যবস্থা ।

রাজ আমলে ধুমধাম করে পুজো হত। নানা অনুষ্ঠানও হত। কিন্তু, জমিদারি চলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে পুজোর জৌলুস কমেছে। তবে রাজ আমলের ঐতিহ্য আজও বজায় রয়েছে পুজোতে। 

করোনাভাইরাসের মহামারির পর্ব কাটিয়ে এবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাঙালির প্রিয় দুর্গোৎসব। অন্যান্য বছরের মত এবারও উৎসবে সামিল বেলুড়মঠ রামকৃষ্ণ মিশন। কোভিডের জন্য গত দুই বছর ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল মঠের প্রবেশ দার

রীতি মেনেই শুরু হল মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বীরভূমের নাকপুর গ্রামের জমিদার প্রতিষ্ঠিত দুর্গাপুজো।  জমিদার বাড়িতে কথিত আছে, নবমীর যজ্ঞের কলা খেলে নিঃসন্তান মহিলা সন্তান লাভ করেন।

২০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী হাওড়া সাঁকরাইলের পাল বাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও সিঁদুর খেলা হয় অষ্টমীতে। পালবাড়ি পুজোয় যাতে ভবিষ্যতে কখনও কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণে পূর্বপুরুষরাই হাওড়া আন্দুল একটি বিশাল জমি দেবোত্তর সম্পত্তি করে ট্রাস্ট তৈরি করে দিয়ে যান ।
 

পুজোর মূল বৈশিষ্ট্য হল সারাবছর অব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের কর্মকার পুরোহিতের কাছ থেকে পুজো নেন মা। কিন্তু, পুজোর পাঁচ দিন মা দুর্গা ব্রাহ্মণ পুরোহিতের কাছ থেকে পুজো নেন। বছর ভর সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ঝালদা মুচি গড়িয়ায় শিলা রুপি মা দুর্গার এই পুজো করেন কর্মকার সম্প্রদায়ের পুরোহিত দুলাল কর্মকার।