বিজয়া দশমীর দিন এইবছর তিনটি বিশেষ যোগের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই দশমীর দিন নিয়ম মেনে নিষ্ঠাভরে পুজো করলে জাতকদের বিশেষ লাভ হবে। ১৪ অক্টোবর সন্ধে ৬ টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত নবমী তিথি ছিল। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে দশমী তিথি। তবে উদয়া তিথির কারণে ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী পালিত হবে।
কুমারী পুজো বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। উল্লেখ্য, ১৭৪০ সালে রাজা কীর্তি চাঁদ অষ্টাদশী দেবী মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করেন, সরকারি নির্দেশিকা ও কোভিড বিধি মেনেই এখানে পুজোর আয়োজন করা হয় বৃহস্পতিবার নবমী তিথিতে।
নবমীতে কুমারী পুজোর সঙ্গে সদবা পুজোতে মাতোয়ারা কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ী পুজো। যদিও নিয়মের বেড়াজালে ওড়ানো হয় না কৈলাসে বার্তা বহনকারী নীলকন্ঠ পাখি । জাঁকজমকে ভাটা পড়লেও, তবুও আজও জমজমাট মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজারের ছোট রাজবাড়ির দুর্গাপুজো।
প্রতিবারের ঐতিহ্য এবং রীতিকে বজায় রেখে মুদিয়ালি ক্লাব নবমীর সকালে তাদের কুমারী পূজো আয়োজন করেছে। এবং সব করোনা বিধিনিষেধ মেনেই এই কুমারী পুজো হচ্ছে।
দর্শনার্থীর লাগামছাড়া ভীড়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল শ্রীভূমি দুর্গা মন্ডপ দর্শন। কোভিড পরিস্থিতিতে অষ্টমীর রাতে বিপুল জনসমাগম হতেই কড়া সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।
১৮২৫ সালের শতাব্দী প্রাচীন অভিনব 'বাইশ পুতুলের দুর্গা পুজো' এর টানে ভিন রাজ্য থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। ধুলিয়ানের সেই জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো ৩০০ বছরের অধিক এই পূজাকে ঘিরে উন্মাদনা আর উদ্দীপনা রয়েছে চরমে, এলাকাবাসীর কাছে এই জমিদার বাড়ির দুর্গা পূজা ‘বাইশ পুতুলের পুজো’ বলেই পরিচিত।
হাওড়ার সাঁকরাইলের পালবাড়ি। পূর্বপুরুষ চূড়ামণি পাল ছিলেন আন্দুল রাজাদের দেওয়ানী। প্রথমদিকে গঙ্গার একেবারে পাড়ে ছিল তাঁদের বসতবাড়ি। তবে গঙ্গার ভাঙনের ফলে সেই বাড়ি জলে তলিয়ে যায়। তারপরে আন্দুলের রাজাদের তরফে হাওড়া সাঁকরাইলের রাজগঞ্জ-বানিপুর এলাকার তিনটি গ্রাম নিঃশুল্ক শর্তে প্রদান করা হয় চূড়ামণি পালকে।
তৃণমূল কর্মী-সমর্থক পরিচালিত এই ক্লাবের পুজো দেখতে সপ্তমীর সন্ধে থেকেই মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। এই ক্লাবের সম্পাদক তথা তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। বিশ্ব বাংলার আদলে সাজানো হয়েছে পুজো মণ্ডপ।
জানা যায়, রায় বাহাদুরের পুত্র রবীন্দ্র নারায়ণ সিংহ দুরারোগ্য কর্কট রোগে আক্রান্ত হন। প্রিয় পুত্রের আরোগ্য কামনায় প্রায় ৭৭ বছর আগে নেহালিয়া সিংহ বাড়ির দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু, পুজার সময়কালে রবীন্দ্র নারায়ণের মৃত্যু হয়।
বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর মহা অষ্টমীর সঙ্গেই জড়িত কুমারী পুজো। স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে এই কুমারী পুজো প্রথম চালু করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় অষ্টমীতে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো হয়ে আসছে। চলতি বছরে ও এই প্রথার অন্যথা হয় নি। নিয়ম মেনেই হল কুমারী পুজো। নেই কেবল ভক্তের সমাগম।