কলকাতার পুরভোটের সঙ্গে ত্রিপুরার পুরভোটের তুলনা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির সন্ত্রাসের জের আগরতলা পুরসভার তৃণমূল প্রার্থীরা ভোট দিতে পারেনি। আর সেই ঘটনার স্বপক্ষে অসান্তির ভিডিও ফুটেজও জমা দেওয়া হয়েছে।
শুভেন্দ অধিকারী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশকে নিরস্ত্র থাকার ও তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডাদের রক্ষা করার সবরকম নির্দেশ দিয়েছেন।
শুভেন্দু বলেন, "একাধিক জায়গায় বিজেপি বিধায়কদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা আসার পথে দুজন বিজেপি বিধায়ককে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১২ জন বিধায়ককে এমএলএ হস্টেলের ভিতরে আটকে রাখা হয়েছে।"
তাঁর শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একজন যুবক নিজের ভোটদান ভিডিয়োগ্রাফি করছেন। পরবর্তীতে সেখানেই দাঁড়িয়ে পরের ভোট দেওয়ার অপেক্ষা করছেন ওই যুবক। এরকম ভাবেই পরপর বেশ কয়েকবার তৃণমূলের বোতামে ভোট দেন তিনি।
শতাধিক ওয়ার্ডে ভোট লুট করেছে তৃণমূল। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করার লক্ষ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও বেশিরভাগ বুথে তা বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ শুভেন্দুর।
কলকাতা পুর ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আর কলকাতা পুরভোটে বিক্ষিপ্ত ঘটনার প্রতিবাদে বালুরঘাটে রবিবার দুপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
কলকাতার পৌরভোটে পুলিশের ভূমিকায় খুশি নয় বিরোধীরা। কলকাতা পুরনির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে সেই অভিযোগ তুলে আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনের পুনর্নির্বাচনের দাবিতে রবিবার দুপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি।
তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভোট দিতে না এলেও, ভোট দেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও মেয়ে সুচেতনা। সব সময় পরিবারের সঙ্গেই ভোট দিতে আসতে দেখা যেত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।
রাজ্যপালের নিরাপত্তায় জেড প্লাস শ্রেণিতে নেই। সেই কারণেই তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী বুথের বাইরে রেখেই ভোট দিতে হয়েছে। আমাদের রাজ্যে বর্তমানে অভিষেক ও মমতারই শুধুমাত্র এই উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে।
সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে কলকাতা পুরসভার ভোট। আর পুরভোটের সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এবার ভোট দিয়ে বেরিয়ে সেই নিয়েই মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।