মোদী পদবী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর থেকেই রাহুল গান্ধীর সংসদে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। গত শুক্রবারই সুরাত আদালতের রায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
আপাতত এই সংক্রান্ত সুরাত আদালতের রায় আপাতত কার্যকর হচ্ছে না।
গত ৭ জুলাই খারিজ হয় সেই আবেদন। শনিবাড় এই মামলায় শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান রাহুলের আইনজীবী।
রাহুল গান্ধীর বক্তৃতাকে বিঁধেছেন তিনি। তাঁর কথায় যে নেতা ভালো বক্তা নয় তাঁকে ভোট দেওয়া সহজ নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাহুল গান্ধী এদিন বিগ ডেটা, মেশিন লার্নিং, সাধারণভাবে মানবজাতির ওপর শাসন, সামাজিক, কল্যাণমূলক ব্যবস্থা ছাড়াও বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্যের প্রভাবের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
সংসদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সাংসদ হিসেবে অযোগ্য রাহুল গান্ধী। সুরাটের আদেলতের রায় ঘোষণার পরই তিনি সাংসদ হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবে বিরোধী পক্ষের থেকে প্রথমেই ভাষণ দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রায় ২৫ মিনিটের ভাষণে তিনি চড়াসুরেই আক্রমণ করেন মোদী সরকারকে। তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি সরকারের বিদেশনীতির। সেই সময়ই তিনি বলেন 'রাজা কারও কথা শোনে না।'
রাহুল গান্ধীর সংসদের মন্তব্যের উচ্চ প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী সিমি গারেওয়াল। তিনি বলেছেন নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধী এতদিনে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক ভাষণ। গোটা দেশ এদিন তাঁর আবেগ দেখেছে আর শুনেছে। তিনি যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা সত্যি খুব ভয়ঙ্কর। তিনি আরও বলেছেন রাহুল গান্ধী একজন সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী নেতার পরিচয় তুলে ধরেছে।
মোদী সরকারকে (Modi Govt) আক্রমণ করতে গিয়ে বুধবার বিচার বিভাগ (Judiciary) এবং নির্বাচন কমিশনকেও (Election Commission) নিশানা করেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তারই কড়া জবাব দিলেন কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju), হিমন্তবিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma), এস জয়শঙ্কররা (S Jaishankar)।
এদিন সরাসরি না বললেও বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাহুল গান্ধীর বারবার বিদেশ সফরকেই কটাক্ষ করেছেন। বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের অভিযোগ দেশের যখন প্রয়োজন তখনই রাহুল গান্ধী বিদেশে চলে যান ছুটি কাটাতে। দেশের সমস্যা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহান নন।