রবিবার ভোরের দিকে কুয়াশা এবং বেলা বাড়তেই আকাশ পরিষ্কার শহর ও শহরতলিতে। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব রবিবার থেকে কেটে যাবে এবং আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব আগামীকাল থেকে কেটে যাবে এবং আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বর মাস ব্যতীতে ২০২১ সালের সমস্ত মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্চ সামে দেশে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ মার্চ ছিল উষ্ণতম মাস। তারপর তারপরের উষ্ণতম মাসগুলি ছিল অগাস্ট, জানুয়ারি ও অক্টোবর মাস।
শনিবার শহরের আকাশ মেঘলা, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।১৬ জানুয়ারি থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়বে। বাকি সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হবে। তবে এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আজ উপকূলীয় জেলাগুলোতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়বে। এছাড়া সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হবে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জানুয়ারির ১৫ তারিখের পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালীপনার জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব -পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আজ সকাল থেকেই মেঘলা করে রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির আকাশ। আর তার সঙ্গে দোসর হয়েছে কুয়াশা। আজ গোটা দিনই আবহাওয়া এইরকম থাকবে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে।
গোটা দিনই মেঘ আর রোদ্দুরের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা চলেছে। দুপুরের পর থেকেই ফের মেঘে ঢাকে আকাশ। এমনকী, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে রাজ্যে শীতের আমেজও তেমন একটা নেই বললেই চলে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্যই রাজ্যে তেমন একটা শীত অনুভূত হচ্ছে না।