চন্দ্রযান-থ্রি ল্যান্ডারের প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতা থেকে চাঁদে অবতরণ করতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগলে। প্রক্রিয়া চলাকালীন, বিক্রম ল্যান্ডার থেকে র্যাম্পের সাহায্যে ৬ চাকার রোভারটি চাঁদে অবতরণ করল।
কেন বিক্রমের অবতরণের জন্য বুধবার সন্ধ্যাকেই বেছে নিলেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো? বিজ্ঞানীদের দাবি চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণের জন্য ২৩ অগাস্ট দিনটিকে খুব সাবধানে বেঁছে নেওয়া হয়েছে।
ISRO 'X' -তে একটি পোস্টে বলেছে, 'ল্যান্ডার মডিউলটি দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত ডিবুস্টিং (প্রক্রিয়া ধীর করার) অপারেশনে সফলভাবে আরও কক্ষপথে নেমে এসেছে। মডিউলটি এখন অভ্যন্তরীণ চেকিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে এবং নির্ধারিত ল্যান্ডিং সাইটে অপেক্ষা করবে।
চন্দ্রযান -৩ ২৩ অগাস্ট অবতরণ করবে। সেই দিন থেকেই নতুন চন্দ্র দিবস শুরু হবে। চন্দ্রযান -৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভার সকালে ল্যান্ড করবে। চাঁদে তাদের কাজের সময় প্রায় ১৫ দিন, পৃথিবীর হিসেবে। যা একটি চন্দ্রদিবস।
ইতিমধ্যেই ইসরো জানিয়েছে একেবারে চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ভারতের এই মহাকাশযান, কমেছে গতিও।
বিনা বাধায় তিন নম্বর কক্ষপথ পার হল চন্দ্রযান ৩। তবে চন্দ্র অভিযানের পথে এখনও আরও দুটি পাঁচিল রয়েছে চন্দ্রযানের সামনে।
চন্দ্রযান ৩ যথেষ্ট নিরাপদ আর স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। নিজের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে চাঁদের দিকে। জানিয়েছে ইসরো।
চন্দ্রযান-৩ এর ফোকাস চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ অবতরণ করা। এর আগে, ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছিলেন যে এটি মহাকাশের ক্ষেত্রে ভারতের আরেকটি বড় সাফল্য হবে।
চন্দ্রযান-৩ মিশন, যা ১২ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে চালু হতে চলেছে, এটি হবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণ করার জন্য ভারতের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা।
যদিও আগে তেসরা জুলাই এর লঞ্চ উইন্ডোতে এটি পাঠানোর প্রস্তুতি ছিল, কিন্তু সেই সময়ে রাশিয়ার মুন ল্যান্ডার মিশনের উৎক্ষেপণের তারিখ থাকায়, ভারত নিজের চন্দ্রযান উৎক্ষেপণের তারিখ কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে।