বছরে মূলত চারটি নবরাত্রি আসে। তার মধ্যে দুটি গুপ্ত নবরাত্রি। চারটি নবরাত্রিতেই শ্রী দূর্গার মহাপূজা হয়। আশ্বিনের নবরাত্রি পূজা শারদীয়া পূজা এবং বসন্তের নবরাত্রির পূজা বাসন্তী দুর্গাপূজা নামে পরিচিত।
৪ টি রাশির জাতকরা এই রাজ যোগের সর্বাধিক শুভ ফল পাবেন। এই সময়টি এই ৪ রাশির জাতকদের ধন, প্রতিপত্তি এবং সম্মান পেতে সাহায্য করবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই সৌভাগ্যবান রাশিগুলো কোনটি।
সূর্যও কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছে এবং শনির সঙ্গে মিত্রতা করছে। একই সময়ে গুরু এবং শুক্র মীন রাশিতে যুক্ত। মীন রাশি বৃহস্পতির চিহ্ন। ৫ টি মহা যোগের এই বিরল সংমিশ্রণটি ৭০০ বছর পরে গঠিত হয়েছে, যা ৩ টি রাশির জাতকদের জন্য অত্যন্ত শুভ।
৬১৭ বছর পর এই চারটি বড় গ্রহের বিরল যোগ তৈরি হয়েছে। শশ, মালব্য এবং হংস রাজযোগ তাদের জোট দ্বারা গঠিত হচ্ছে। এই তিনটি রাজ যোগের সৃষ্টি ৪টি রাশির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং তাদের জন্য উন্নতি ও সম্পদের সম্ভাবনা থাকবে।
০ বছর পর কুম্ভ রাশিতে এসেছেন শনিদেব। মনে করা হচ্ছে, ৩০ বছর পর মহাশিবরাত্রির দিন কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে। এদিন নিষ্ঠা ভরে বাবা ভোলেনাথের পুজো করলেন মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে। পাশাপাশি এইদিন ভুল করে এই কাজগুলি করবেন না, এতে ভগবান শিব রুষ্ট হতে পারেন।
মহাশিবরাত্রিতে ৩০ বছর পর শনি ও তাঁর পিতা সূর্য দুজনেই কুম্ভ রাশিতে বসবেন। শনি এবং সূর্যের সংমিশ্রণের কারণে, এর প্রভাব অনেক রাশির উপর দেখা যাবে। অন্যদিকে, শারীরিক সুখ এবং সৌন্দর্যের দেবতা শুক্র তার উচ্চ চিহ্ন মীন রাশিতে উপবিষ্ট থাকবেন।
সূর্য ধনু থেকে মকর রাশিতে গমন করে, সেই দিন মকর সংক্রান্তি উৎসব পালিত হয়।এই বছর, সূর্য ১৪ জানুয়ারি রাতে মকর রাশিতে প্রবেশ করবে, তাই ১৫ জানুয়ারী, মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণ উৎসব ধুমধাম করে পালিত হবে।
এবার কারভা চৌথের দিনে ৪৬ বছর পর একটি বিরল যোগ ঘটছে, যার ফলে বিবাহিতরা শুভ ফল পাবেন। আসুন জেনে নিই কেন এই বছরের করভা চৌথের উপবাস বিশেষ।
জ্যোতিষশাস্ত্রে পুষ্য নক্ষত্রকে নক্ষত্রের রাজা বলা হয়। এই নক্ষত্রটি অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই সময়ে করা সমস্ত কাজ খুব সহজেই সম্পন্ন হয়। এই ধরনের শুভ যোগে প্রতিটি কাজে সাফল্য অর্জিত হয়। এবার দীপাবলি ২৪ অক্টোবর এবং ধনতেরাস ২৩ অক্টোবর।
আজ গণেশ চতুর্থী। ৩১ আগস্ট বুধবার সারা দেশ জুড়ে পালিত হবে গণেশ চতুর্থী উৎসব। আগে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে ধুমধাম করে পালিত হলেও এখন গোটা দেশে, পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয়েছে গণেশ পুজো। ভাদ্র ও মাঘ মাসের শুক্লাচতুর্থীকেই বলা হয় গণেশ চতুর্থী। হিন্দুধর্ম মতে এই দিনটিই গণেশের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। গণেশ চতুর্থীর এই উৎসব ১০ দিন ধরে পালিত হয়। গণেশ চতুর্থী থেকে অনন্ত চর্তুদশী পর্যন্ত ভক্তদের সঙ্গে থাকেন গণেশ।৩০০ বছর পর বিরল কাকতালীয় যোগ রয়েছে গণেশ চতুর্থীতে। এই দশদিন যার মনপ্রাণ দিয়ে গণপতির পুজো করেন তাদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। এবং গণেশ সমস্ত ভক্তদের প্রাণভরে আশীর্বাদ দেন। তবে গণপতির অসীম কৃপা পেতে শুধু গণেশ পুজো করলেই হল না, এর কিছু নিয়ম কানুনও রয়েছে। গণেশ পুজোর দিন এই ছোট্ট ভুলগুলি ভুলেও করবেন না, তাহলেই জীবনে নেমে আসবে চরম দুর্দশা ও ঘোর অমঙ্গল।