নভেম্বর মাসেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ভাঙ্কর ঘূর্নিঝড়। তেমনই আশঙ্কা করছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর। বাংলাদেশের আবাহাওয়া অধিদফতর মাসিক পর্যালোচনা বৈঠক করেছিল বুধবার।
সিতরাং-এর দাপটে লন্ডভন্ড বাংলাদেশ। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। বিপর্যস্ত বরিশাল, খুলনা, চট্টোগ্রাম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রবল শক্তিতে আঘাত। ‘এলোমেলো ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি নির্ণয়ে সমস্যা’, জানিয়েছেন বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক ম. বজলুর রশীদ।
বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে প্রথম ঘূর্ণিঝড় এলাকা তৈরি হয়। তারপর তা গভীর নিম্মচাপে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে শক্তি বাড়ায়। এই অবস্থায় রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় । তারপরই এটি উত্তর - উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করে।
প্রবল গতিতে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিতরাং। স্থলভাগের দিতে যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়শে শক্তি। সোমবার রাত থেকেই আবহাওয়া খারাপ হবে। মঙ্গলবার ভোরে ল্যান্ডফল বাংলাদেশে।
বিপদের আশঙ্কায় বাংলা ইতিমধ্যেই হাই অ্যালার্টে রয়েছে। রাজ্যের সাতটি জেলায় ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
রাজ্যে এর সরাসরি কোনো প্রভাব নেই ,তবে এর প্রভাবে আজ এবং কাল দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
ঝড়-বৃষ্টিতে অনেকটাই পারদ নামলেও আবারও গরমের কথা ভেবে নাকাল শহরবাসী। বৃষ্টির পূর্বভাস রয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গেও।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে কি বাংলায়, চিন্তায় সবাই। তবে নিম্নচাপ জমাট বাধলেই ফের ঝড় বৃষ্টি হবে। যদিও গত কয়েক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে পারদ অনেকটাই নামলেও আবারও গরমের কথা ভেবে নাকাল শহরবাসী।
দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় সবাই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলবে।