কেরালার অনেক অঞ্চলে শনিবার অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বর রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে তামিলনাড়ুতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস। এর প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় চলছে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি।
চেন্নাই প্রশাসন জানিয়েছে, ৪০০ গাছ উপড়ে গেছে। তারসঙ্গে একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। তবে পুরোদমে কাজ চলছে। প্রায় ২৫ হাজার কর্মী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ শুরু করেছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
রীতিমত শক্তিবাড়িয়ে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস। আজ মধ্যরাতেই আছড়ে পড়বে স্থলভাবে। কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুদুচেরিতে।
চেন্নাইয়ের মেরিনা সৈকতে বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য একটি কাঠের র্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল, শুক্রবার ভোরে প্রবল ঢেউয়ের কারণে সেটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রায় স্থানচ্যুত হয়ে গেছে।
বঙ্গোপসাগর থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় মনদৌস তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর গতি বৃদ্ধির কারণে এই রাজ্যগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই ঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ ও প্রবল বাতাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
বছরের শেষেও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট থাকবে। ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস। আছড়ে পড়তে পারে তামিলনাড়ুর অন্ধ্র উপকূলে। প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস।
নভেম্বর মাসেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ভাঙ্কর ঘূর্নিঝড়। তেমনই আশঙ্কা করছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর। বাংলাদেশের আবাহাওয়া অধিদফতর মাসিক পর্যালোচনা বৈঠক করেছিল বুধবার।
সিতরাং-এর দাপটে লন্ডভন্ড বাংলাদেশ। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। বিপর্যস্ত বরিশাল, খুলনা, চট্টোগ্রাম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রবল শক্তিতে আঘাত। ‘এলোমেলো ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি নির্ণয়ে সমস্যা’, জানিয়েছেন বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক ম. বজলুর রশীদ।
বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে প্রথম ঘূর্ণিঝড় এলাকা তৈরি হয়। তারপর তা গভীর নিম্মচাপে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে শক্তি বাড়ায়। এই অবস্থায় রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় । তারপরই এটি উত্তর - উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করে।