হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ৩ ডিসেম্বর এই নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাওয়াদের ভয়াবহতা কতটা হতে পারে, কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে ও কেন্দ্র এর মোকাবিলা কী উপায়ে করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা চলে বৈঠকে।
ওমানের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ সরাসরি দেশের উত্তর আল বাতিনা, আর ধহীনা, আল বুরাইমি ও আল দখলিয়াতে প্রভাব ফেলবে। এক আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন ওমান মূলত মরুভূমির দেশ।
আবার তৈরী ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে শাহীন। মৎসজীবীদের সুমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সোমবার ভোরেই স্বস্তির খবর দিয়েছে মৌসম ভবন। জানিয়েছে, ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে গুলাব। ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ইস্টার্ন নাভাল কমান্ড (Eastern Naval Command) ও ওড়িশার নাভাল অফিসাররা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে ইতিমধ্যে। রাজ্য সরকারের সঙ্গেও সেনা কর্তারা যোগাযোগ রেখছেন।
ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব' গোপালপুর এবং কলিঙ্গপত্তনম থেকে আরও কাছে এসে পৌছেছে। দমকা হওয়ার সঙ্গে বর্ষণের পূর্বাভাস কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে।
মোট ২৮টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি কাটছাঁট করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথও। নির্দিষ্ট গন্তব্যের অনেক আগেই ট্রেনগুলির যাত্রা শেষ করে দেওয়া হচ্ছে।
মৌসব ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় গুলাব ধীরে ধীরে পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রবিবার সন্ধের দিকে তা উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা কলিঙ্গপত্তনম ও গোপালপুরের কাছে আছড়ে পড়বে।
পরিস্থিতি যতদিন না পর্যন্ত পরিস্থিতি ঠিক হবে ততদিন দিঘা পর্যটকশূন্য রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি হোটেলগুলিকেও পর্যটকশূন্য করার জন্য প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।