শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি টেটের নম্বর কারছুপি করে বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ তুলেছিল। তাই এবার প্রার্থীদের তরফে দেওয়া টেটের নম্বরের সঙ্গে সার্ভারে থাকা নম্বরের মিল রয়েছে কিনা, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে পর্ষদ।
শুক্রবার দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠক করবেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। এই বৈঠকেই টেটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
পুজোর আগেই সুখবর! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ১৮৫ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বগত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের নথি যাঁচাই হয়। তারপরই তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের ২৬ সেপ্টেম্বর নথি নিয়ে যোগাযোগ করাতে বলা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশের পরই সিবিআই-এর একটি দল পৌঁছে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদরের অফিসে। শুরু হয় তল্লাশি। সূত্রের খবর টেট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই পর্ষদের অফিসে হানা দেয় সিবিআই। প্রয়োজনীয় নথিও সংগ্রহ করবে তারা।
টেট পরীক্ষার বেনিয়মের মামলায় ৪টি ব্যাগ ভর্তি করে মেধাতালিকা পাঠাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তড়িঘড়ি ফেরৎ পাঠিয়ে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেখানে প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল বলে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অনেকেই তাতে পাশ করতে পারেননি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পাস করেও এখনও মেলেনি চাকরি। সরকারের তরফে একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হলেও সবই গিয়েছে বিফলে। তাই আন্দোলন ছাড়া তাদের হাতে আর কোনও রাস্তাই খোলা নেই।
“আন্দোলনের জেরে তাঁদের দফতরে কোনও কর্মী ঢুকতে পারছেন না,” যুক্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ‘‘এত দ্রুত শুনানির কী প্রয়োজন?” কড়া জবাব বিচারপতির।