গত একমাসের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে (Ukraine-Russia Crisis) একের পর এক ভয়ঙ্কর মিসাইল ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে, রবিবার সকালে ভারতীয় সেনার (Indian Army) গবেষণা বিভাগ, ডিআরডিও (DRDO)-র পক্ষ থেকেও ছোঁড়া হল একটি মাঝারি পাল্লার মিসাইল।
কোয়াড গ্রুপের বাকি সদস্যদের কথা বলতে গিয়ে জো বাইডেন জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন রাশিয়ার পুতিনের বিরুদ্ধে জাপান শক্তিশালী দেশে হিসেবে দাঁড়িয়েছে। পাশে রয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু ভারতের অবস্থান খুবই নড়বড়ে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়াতে চাইছে। করোনাভাইরাসের পরবর্তী সময় দেশে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে লড়াই করছে ভারত। এই অবস্থায় রাশিয়া থেকে যদি সস্তা দরে তেল পাওয়া যায় তাতে আদতে লাভ হবে ভারতীয় অর্থনীতি।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations Security Council) ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের (Ukraine-Russia War) অবসানের পথ বাতলালো ভারত। ভোটও দিল না রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।
শিয়ান বাহিনীর সরবরাহ লাইন বর্তমানে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। খুচরো জিনিসপত্র, তেল প্রায় সবই শেষের দিকে। রাশিয়ার এই অবস্থায় নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতের। কারণ ভারত এখনও তিনটি বাহিনীর জন্য রাশিয়ার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে আকাশ ছোঁওয়া পেট্রোলের মূল্য। শ্রীলঙ্কায় ৩০০-র পথে পেট্রোল, যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে পেট্রোল-ডিজেলের কী দাম ভারতের শহরগুলিতে, চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে অপরিশোধিত তেলের দাম উর্ধ্বমুখী। এই মুহূর্তে এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অপরিশোধিত তেলের দাম ৩০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা-সহ সারা দেশে কী দামে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল এবং ডিজেল জেনে নেওয়া যাক।
মার্কিন কর্মকর্তা ডোনাল্ড লু বলেছেন ভারতের সঙ্গে দূরত্ব মেটানোর সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে একাধিক আলোচনাও শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে সবদিক খতিয়ে দেখা হবে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীষূষ গোয়েল, বিদেশ মন্ত্রকের সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে ও। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে বেশ কিছু দেশ। এদিকে ভারতের দীর্ঘদিনের পুরোনো বন্ধু রাশিয়া। ভারতের প্রতিরক্ষা ও অস্ত্র সরবরাহে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হল রাশিয়া। এই অবস্থায় যুদ্ধের এই পরিস্থিতির টানাপোড়েনে চাপ বাড়তে থাকে ভারতের। অবশেষে ভারতকে এস- ৪০০ মিসাইল সরবরাহে কোনও বাধা হবে না বলে আশ্বাস দিল রাশিয়া।