শিব ঠাকুর চোখ দিয়ে জল ফেলেন। তাই পরবর্তীকালে রুদ্রাক্ষের রূপ নেয়।
রুদ্রাক্ষ পরলে ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়। জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শকদের থেকে জেনে নিন, রুদ্রাক্ষ পরার সময় কখন কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
শিব ঠাকুরের চোখের জল ভূমি স্পর্শ করার পরই গাছের আকার নেয়। সেই গাছের ফলই হল রুদ্রাক্ষ। জ্যোতিষ অনুযায়ী পুজোর কাজে রুদ্রাক্ষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিন্তু কোষ্ঠী বিচার করে বা গ্রহ নক্ষত্রে দশা দেখে পরা হয় না।
শিবপুরাণ অনুসারে, শিবের অশ্রু থেকে রুদ্রাক্ষের উৎপত্তি। এটি অত্যন্ত অলৌকিক এবং অতিপ্রাকৃত বলে বিবেচিত হয়। রুদ্রাক্ষ এক মুখী থেকে একুশ মুখী পর্যন্ত। এটি পরিধান করলে সকল প্রকার কষ্ট নাশ হয়।
কথিত আছে, মহাশিবরাত্রির দিন এই দিনে মহাদেব ও মা গৌরীর আরাধনা করলে ভক্তদের জীবনের সমস্ত দুঃখ দূর হয়। ভগবান শিবের প্রিয় জিনিস বাড়িতে আনা হলে মানুষের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও, ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
এটি একটি ফল যা ভোলেনাথের চোখ থেকে অশ্রু আকারে দেখা দেয়। রুদ্রাক্ষ পরিধান করে বা এর জপমালা দিয়ে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে গ্রহের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক শনির বাধা দূর করতে কোন রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করা উচিত।
যেহেতু রুদ্রাক্ষ অত্যন্ত পবিত্র এবং শুভ বলে মনে করা হয়, তাই এটি পরার কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি এটি অনুসরণ না করেন তবে এর পরিণতি আপনার বিশাল ক্ষতির কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নিই রুদ্রাক্ষ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম।
১৮ জুলাই, সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে শ্রাবণ মাস। এই পবিত্র শ্রাবণ মাসে নিরীহ ভক্তরা সব ধরনের প্রার্থণার মধ্যে দিয়ে ভোলেনাথের নাম জপ করে।
রুদ্রাক্ষ অনেক ধরেনের হয়। একমুখী রুদ্রাক্ষ যেমন হয় তেমনই তেরোমুখী রুদ্রাক্ষও হয়। তাই রুদ্রাক্ষ ধারণের আগে জেনে নেওয়া উচিৎ কোন রুদ্রাক্ষ আপনার সহ্য হবে। রাশি অনুযায়ী রুদ্রাক্ষ পরাও শ্রেয় বলে মনে করা হয়।
রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে কষ্ট নাশ হয় এবং গ্রহের অশুভতাও কমে। রুদ্রাক্ষ পরার অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে রুদ্রাক্ষ পরার আগে এর সাথে সম্পর্কিত নিয়মগুলি জেনে নেওয়া খুব জরুরি