চলতি আর্থিক বছরের প্রথম দ্বি-মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করে, আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন যে গ্রামীণ চাহিদা গতি পাচ্ছে এবং উত্পাদন ক্ষেত্রে অব্যাহত বৃদ্ধি বেসরকারি বিনিয়োগকে উত্সাহিত করবে।
গত ৬ জুন থেকে শুরু হয় আরবিআই-এর মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
রেপো রেট বৃদ্ধি পেলে ব্যাঙ্ক লোন মহার্ঘ হয়ে ওঠে। রেপো রেট না বাড়ার ফলে ব্যাঙ্কের লোনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা পাবে ভারতবাসী।
দেশে এই মুহূর্তে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে অনিশ্চিয়তার ইঙ্গিতও দিল আরবিআই। এই পরিস্থিতিতে কি ফের ঋণের বোঝা বাড়বে সাধারণ মানুষের কাঁধে?
সোমবার থেকেই ‘মনিটরি পলিসি কমিটি’র বৈঠক চলছিল। উল্লেখ্য এই ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ বৃদ্ধির আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ মহলের সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে বুধবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বাড়ানোর ফলে দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কে সুদের হারও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। গ্রাহকদের ওপরে বাড়বে ই.এম.আইয়ের বোঝাও।
দেশের অর্থনীতিতে ক্রমশই বেড়ে চলেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। এর জেরে আর্থিক উন্নতির গ্রাফটা ক্রমশই নিম্নমুখী। এই অবস্থায় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক সাহসী পদক্ষেপ। যা দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলেই মনে করছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং ধীর গতির প্রভাব ভারতীয় বাজারেও দেখা যাচ্ছে। দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে। কমছে পণ্যের বাজারেও। মুদ্রানীতির নিয়ম বই অনুযায়ী কাজ হয় না।
ওমিক্রনের বিষয়টিকে সামন রেখে অপরিবর্তিত রাখা হল রেপো রেট। মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করেছেন আরবিআই-য়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আট দফা অপরিবর্তিত রইল রেপো রেট