মাহেশ জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে রথযাত্রার নির্দিষ্ট সময় ও ক্ষণ সম্পর্কে ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রায় এবার থেকে থাকছে ডিজিটালি পুজো দেওয়ার সুবিধা।
মাহেশের রথযাত্রা এই বছরে ৬২৬ বছরে পড়ল। বিগত দুই বছরে করোনা মহামারীর ফলে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার শুধু নিয়ম পালন করা হয়েছিল। তবে চলতি বছরে মহা সমারোহে আয়োজন করা হয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই রথযাত্রার। মাহেশ জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে রথযাত্রার নির্দিষ্ট সময় ও ক্ষণ সম্পর্কে ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রায় এবার থেকে থাকছে ডিজিটালি পুজো দেওয়ার সুবিধা।
মাহেশের রথযাত্রার ইতিহাস
বহু ইতিহাসে সমাদৃত বাংলার এই প্রাচীণ রথযাত্রা। মাহেশের রথযাত্রার কথা উঠলেই সবার আগে মনে আসে বঙ্কিমচন্দ্রের লেখনীতে রাধারানী গল্পে মাহেশের রথের মেলার কথা। ৬২৬ বছর আগে স্বপ্নাদেশে গঙ্গার জলে ভেসে আসা নিম কাঠ দিয়ে পুরীর ধাঁচে তৈরি করা হয়েছিল জগন্নাথ দেবকে। বহু মনীষী যেমন- শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্যদেব প্রভূত বহু মহান ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটে এই রথযাত্রায়। বাংলার এই রথযাত্রা ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ৬২৬ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এই রথযাত্রা ঘিরে আজও বাংলার মানুষের মনে একই উন্মাদনা দেখা যায়। রথের দড়ি টানতে আজও বহু মানুষ একত্রিত হন।
আরও পড়ুন- প্রভু জগন্নাথদেব এই সময় জ্বর ও ডায়রিয়ায় ভোগেন, জেনে নিন এই ১৫ দিন অসুস্থতায় কিভাবে চিকিৎসা করা হয়
আরও পড়ুন- পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের এই ৫ রহস্য, যার রহস্য আজও বিজ্ঞান সমাধান করতে পারেনি
আরও পড়ুন- ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় আজও রয়েছে জনপ্রিয় এই মন্দিরে, জেনে নিন কোথায় পাবেন এর হদিশ
মাহেশকে বাংলার অন্যতম এক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যনন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মত পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ চলছে। প্রতিমার বসার ঘর-সহ নাটমন্দির পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। সম্পূর্ণ সরকারি বিনিয়োগেই এই মন্দির নির্মাণ প্রকল্প চলছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ২০২২ সালের রথযাত্রার থেকে মাহেশের এই মন্দিরে শুরু হল পুজো দেওয়ার ডিজিটালি ব্যবস্থা। আপনি চাইলে অনলাইনে পুজো দিয়ে ভোগের জন্য কুপনও কাটতে পারবেন। ভক্তদের ভোগ নিতে গেলে তার জন্য ২-৫ হাজার টাকা দিয়ে কুপন কাটতে হবে।