পারমাণবিক বিপর্যয়ে তছনছ হবে বিশ্ব, আতঙ্কের প্রহর বাবাভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে

বাবা ভাঙ্গা বলে গেছেন ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার আগে একটি পারমাণবিক বিপর্যয় গোটা বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলবে। বুলগেরিয়ান মহিলার এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বর্তমান বিশ্ব আতঙ্কের প্রহর গুণছে।

 

Web Desk - ANB | Published : Jun 8, 2023 4:15 PM IST

বাবা ভাঙ্গা - তিনি যা যা বলেগেছেন এখনও পর্যন্ত তার অধিকাংশ সত্যি হয়েছে। মারণ করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে তিনি যেমন আগেই সতর্ক করেছিলেন, তেমনই ৯ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার আগামী তথ্য়ও দিয়ে গিয়েছিলেন। জীবনের অধিকাংশ সময়ই কাটাতে হয়েছে অন্ধ অবস্থায়। কিন্তু আরও তাঁর দূরদৃষ্টি চর্চিত গোটা বিশ্বজড়়ে। কারণ ১৯৯৫ সালের অগাস্ট মাসে ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি যায়া ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তার অধিকাংশই মিলে গেছে। তাই ২০২৩ সালে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে আতঙ্ক অনেক বাড়ছে। চলতি বছরই পারমাণবিক বিপর্যয় বিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি।

বাবা ভাঙ্গা বলে গেছেন ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার আগে একটি পারমাণবিক বিপর্যয় গোটা বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলবে। বুলগেরিয়ান মহিলার এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বর্তমান বিশ্ব আতঙ্কের প্রহর গুণছে কারণ রাশিয়া আর ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রমশই ভযঙ্কর আকার নিচ্ছে। বাবা ভাঙার দাবি ছিল ২০২৩ সালে একটি বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিস্ফোরণ হতে পারে। যা নিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন। বলেছেন, বিস্ফোরণের কারণে এশিয়ায় বিষাক্ত মেঘ তৈরি হবে। যা ধ্বংসের অন্যতম কারণ। অনেকেই মনে করেছে এই বিস্ফোরণের কারণে বিশ্বের একাধিক দেশে দুষণের প্রভাব পড়বে। গুরুতর রোগের সৃষ্টি হবে।

বাবা ভাঙ্গা তাঁর জীবদ্দশায় মিলিয়ে দিয়েছিলেন ডায়নার মৃত্যু, মহামারি, চেরনোবিলের ভয়ঙ্কর পারমাণিবিক বিপর্যয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেলেনি তাঁর জৈবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে ভবিষ্যব্দাণী। তিনি বলেছিলেন জৈবিক অস্ত্রের ব্যবহার করে যে যুদ্ধ হবে তাতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হবে।

পুরনো ইন্ডিপেনডেন্ট রিপোর্ট অনুসারে বাবাভাঙ্গা নামের এই মহিলার জন্ম ভ্যানজেলিয়া পান্ডেভা দিমিত্রোভাতে। ১২ বছর বয়সে তিনি শিশু অবস্থায় এই মহিলা একটি ঝ়ড়ের মধ্যে পড়েন। তারপরই রহস্যজনকভাবে তিনি দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেন। তারপরই তিনি জানিয়ে দেন তাঁর প্রথম ভবিষ্যদ্বাণী। তবে মৃত্যুর কয়েক দশক পরেও এই বুলগেরিয়ান মহিলাকে নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয় বিশ্বজুড়ে।

২০২২ সালে তাঁর দেওয়া ভবিষ্যদ্বানী বেশ কয়েকটি এমিলে গিয়েছিল। যারমধ্যে ছিল করোনাভাইরাসের সংকট। পাণীয় জলের সংকট। পঙ্গপালের হানা। ২০২০ সালের প্রথম দিক থেকেই করোনার মহামারির আকার নিতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২০২২ সালে দাপট অনেকটাই কমে যায়। গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জলের সংকট অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাঙ্গার দাবি, সামনের বছরও বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় শহরে পানীয় জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ২০২২-এ ভারতে ফসল এবং কৃষি জমির ব্যপক ক্ষতি করতে চলেছে পঙ্গপালের (Locust) দল, যার জেরে ভারতে বড় মাপের দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। ২০২০ সালেও রাজস্থান, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হানা দিয়েছিল পঙ্গপাল।

Health Tips: ভরপেট খাবার কখনই খাবেন না, এই নিয়ম মেনে আকlটাতে পারেন অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছে

মঙ্গলবারে ৬ রাশির সঙ্গীর সঙ্গে অশান্তির আশঙ্কা, দেখে নিন আপনার আজকের রাশিফল

যে কোনও ওষুধকে হার মানাতে পারে চরণামৃত, জানুন এর গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে

Share this article
click me!