বাংলাদেশে সংখ্যলঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিস কেন্দ্রের মতে ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে অন্তত ৩ হাজার ৬০০ এজাতীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
চলতি বছর দূর্গা পুজোকে (Durga Puja) কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই দেশে সংখ্যলঘু হিন্দুরা (minority Hindus) আক্রান্ত হয়েছিল। সাম্প্রাদায়িক হামলায় কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। কোরান সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত ও নিন্দনীয় মন্তব্যকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনা শুরু হয়েছিল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। দায়ের হয়েছে ৭১টি অভিযোগ।
তবে বাংলাদেশে সংখ্যলঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিস কেন্দ্রের মতে ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে অন্তত ৩ হাজার ৬০০ এজাতীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ হিন্দু। যার মোট সংখ্যা ১৭০ মিলিয়ন। ৯০ শতাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বাস বাংলাদেশে। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ৩০ শতাংশ ছিল হিন্দু।
বাড়িতে কিলবিল করছে বিষধর সাপ, রেটলস্নেক ধরতে গিয়ে রীতিমত কালঘাম ছুটে গেল
Salmonella Outbreak: কাঁচা পেঁয়াজ থেকে ছড়াচ্ছে দ্রুত সালমোনেলা রোগ, জানুন রোগের উপসর্গগুলি
Travel: এই বাসে উঠলেই বুজে আসবে দুই চোখের পাতা, 'স্লিপিং বাস' সফর ঘিরে বাড়ছে আগ্রহ
সংরাকি পরিসংখ্যন অনুযায়ী ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যা ঠিল মোট জনসংখ্যার ১৩.৫ শতাংশ। সরকারি পরিসংখ্যন অনুযায়ী গত চার দশকে বাংদাশের হিন্দু জনসংখ্যা ১৩.৫ থেকে ৮.৫ শতাংশে নেমে এসেছেন। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত বলেছেন এজাতীয় হামলার মূল উদ্দেশ্যই হল সংখ্যালঘুরে তাদের ঘর থেকে বের করে দেওয়া। অন্য উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমানো। বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা প্রথম আলো জানিয়েছে, রাণা দাশগুপ্ত শুক্রবার বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার বিচার না হওয়ার ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি মনে করছে ৭১ সালের মতই টার্গেট করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের দেশ থেকে বের করে দেবে।
সরকারি পরিসংখ্যন অনুযায়ী বাংলাদেশে হিন্দুরা দেশ ছাড়ছেন। গত আট বছরে ৫৫০টিরও বেশি বাড়ি ও ৪০০টিরও বেশি দোকান ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সময় দেড় হাজারেরও বেশি হিন্দু মন্দির আর উপাসনালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।