৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে ভারতের পাশেই দাঁড়ালো বাংলাদেশ। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা নিয়ে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বের কাছে কাশ্মীর সমস্যাকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা চলছে। তারমধ্যেই ভারতের পাশে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিল অন্যতম প্রতিবেশী দেশ।
বুধবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'ভারত সরকার যে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে, তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনেকরে বাংলাদেশ।' ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থীতাবস্থা বজায় রাখা এবং সেই সঙ্গে উন্নয়নই সব দেশের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এটাই বাংলাদেশের নীতি।
স্বাভাবিকভাবেই এই বিবৃতি পাকিস্তানের কাছে আরও এক বড় ধাক্কা। ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণার পর থেকে পাকিস্তান নানাভাবে কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক সমস্যা করে তোলার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক মহলে কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপকে বিপজ্জনক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। তবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় সব জায়গা থেকেই তাদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি ৩৭০ ধারা বাতিলকে ভারতের অভ্যন্তরিন বিষয় বলে মেনে নিয়েছে।
এই অবস্থায় মঙ্গলবারই পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা কাশ্মীর ইস্য়ুকে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে নিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক আদালতে ৩৭০ ধারা বাতিলের ভারতীয় সিদ্ধান্তকে তারা অবৈধ বলে চ্যালেঞ্জ জানাবে। ঠিক তার আগেই প্রতিবেশী দেশের এই বিবৃতি তাদের অস্বস্তি আরও বাড়াল। শুধু প্রতিবেশী দেশ বলেই নয় আরও কয়েকটি দিক থেকে বাংলাদেশের এই বিবৃতি আরও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন - ভারতীয় হিটলার মোদী! ১৫ অগাস্ট সারা বিশ্বে পাকিস্তানিরা পালন করলেন কালা দিবস
আরো পড়ুন - রাষ্ট্রসঙ্ঘে মুখ পুড়ল পাক-চিনের, কাশ্মীর 'আভ্যন্তরীণ বিষয়' জানাল ভারত
আরো পড়ডুন - ফের বিশ্বকে ধোকা পাকিস্তানের! পিঠ বাঁচাতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভুয়ো এফআইআর
পাকিস্তানের শেষ আশা 'অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ' বা ওআইসি। একমাত্র এই আন্তর্জাতিক জোট থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান সমর্থন পাওয়ার আশা দেখছে। সেই কারণেই কাশ্মীরে মুসলিমদের উপর মোদী সরকার জুলুম চালাচ্ছে বলে দেখাতে চাইছে তারা। নরেন্দ্র মোদী সরকারকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে হিন্দু আধিপত্যবাদ চালনোর অভিযোগ আনা হচ্ছে।
পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের পিছনে ভারতও যে গুটি সাদজাতে শুরু করে দিয়েছে তা বাংলাদেশের এই বিবৃতিতেই স্পষ্ট। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মঙ্গলবারই বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছিলেন ভারেতর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারপরই বাংলাদেশ এই বিবৃতি দিল। এরপর আগামী ২৪ তারিখ থেকে আরও দুই ওআইসি সদস্য দেশ আরব আমিরশাহি ও বাহরিন সফরে যাবেন। কাজেই ওআইসি-তেও পাকিস্তানকে কোনঠাসা করতে চলেছে ভারত, এই কথা বলাই যায়।