ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলো লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ। বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে বহু কাঁচা বাড়ি। বুলবুলের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে বাংলাদেশে। যার জেরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘণ্টায় ১১৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার বেগে বুলবুল সাগরদ্বীপে আঘাত হানে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। ভোর পাঁচটা নাগাদ বুলবুল শক্তি কিছুটা কমিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়বে।
বুলবুলের তাণ্ডবে বির্পযস্ত রেলপথ, বাতিল একাধিক ট্রেন
বুলবুলের প্রভাবে গাছ চাপা পড়ে খুলনা ও পটুয়াাখালিতে তিন জনের মৃত্যু হয়েথে। এছাড়া বরগুনা সদর উপজেলায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের ত্রাণ মন্ত্রকের সচিব মহম্মদ মহসিন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শনিবার রাত পর্যন্ত যে ২১ লক্ষ মানুষকে উপকূল উপকূলীয় অঞ্চলে পাঁচ হাজার ৫৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ কেটে যাওয়ার পর সবাই ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
বুলবুলের তাণ্ডব মাপতে আকাশপথে সমীক্ষা, ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। সাতক্ষীরা জেলায় ২৫ হাজার হেক্টপ আমন ধান , ১,২০০ হেক্টর জমির সবজি ও র৫০০ হেক্টর জমির সরিষা ও ১২০ হেক্টর জমির পান নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ পরিচালক অরিন্দম বিশ্বাস। বাংলাদেশের লক্ষীপুর জেলায় বুলবুলের প্রভাবে মেঘনা নদীর তীরে ২৫টি বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোর পাঁচটা নাগাদ বুলবুল বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও রাত আড়াইটের পর থেকে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।