আক্ষরিক অর্থেই ‘লক্ষ্মী ছেলে’ উজান গঙ্গোপাধ্যায়। এক দিকে বাবা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধা ছবিতে সফল। অন্য দিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ঝুলিতে।
এই ছেলে ছোট থেকেই ভারী লক্ষ্মী। এক্কেবারে কচি বয়সেই সুন্দর হাতের লেখার জন্য পুরস্কৃত। বরাবরের শান্ত, চুপচাপ। অবসরে মায়ের কাছে গল্প শোনাই ছিল নেশা। সেই ছেলে পড়ায়, অভিনয়ে তুখোড়। গর্বে ডগমগ চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। ফেসবুকে তাঁর আবেগের বানভাসি। পাশাপাশি, সমান উচ্ছ্বসিত বাবা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও। উইনডোজ প্রযোজনা সংস্থার সৌজন্যে কৌশিক-উজান পরিচালক-অভিনেতা হিসেবে প্রথম জুটি বেঁধেছেন। প্রথম কাজেই সফল তাঁরা। আর ঠিক দুদিন পর, অর্থাৎ শনিবার ৫০ দিনে পা রাখতে চলেছে তাঁদের ছবি ‘লক্ষ্মী ছেলে’। কৌশিক সেই আনন্দও চেপে রাখতে পারেননি!
ছেলেকে নিয়ে কৌশিক-চূর্ণী ইংলণ্ডে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সংশাপত্র আনার কারণে। যাবতীয় উচ্ছ্বাস তাই আপাতত ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের পাতায়। বুধবারেই বড় পর্দার ‘আমির আলি’ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে ছবি দিয়েছেন। সেখানে স্নাতকের পোশাক পরে শংসাপত্র আনতে নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দুই পাশে মা-বাবা।
বৃহস্পতিবারেও উল্লাস অব্যাহত। চূর্ণী উজানের নানা বয়সের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। আর লিখেছেন, ‘এই ছেলেকেই গর্ভে ধারণ করেছিলাম? এই ছেলেকেই তিলে তিলে গড়ে তুলেছি? নার্সারিতে হাতের লেখার জন্য পুরস্কার পাওয়া থেকে অক্সফোর্ডে স্নাতকের সম্মান— বারেবারে আমার চোখ ভিজিয়ে দিয়েছ তুমি।’ তার পর নিজেকে উদ্দেশ্য করেই যেন বলেছেন, সূর্য অস্ত যায়। আবার নতুন সূর্য ওঠে। দেখতে দেখতে এ ভাবেই বছর কেটে যায়।
কৌশিক-উজান-চূর্ণীর আনন্দের দিনে তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থা। সংস্থার সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ৪৮ তম দিনেও নন্দনে সগৌরবে হাউজফুল ‘লক্ষ্মী ছেলে’। গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার কলকাতায় ফেরার পরে নিশ্চয়ই উদযাপনে মাতবেন। তার আগে উজানের জন্য এর থেকে ভাল পুরস্কার আর কী হতে পারে?