স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়েই কেটেছে জীবনের ২০টা বছর, জানেন কি ‘কিং অফ কমেডি’-র সম্পত্তির পরিমাণ?

১৯৮০ সালে প্রথম কমেডির দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন রাজু। টি টাইম মনোরঞ্জন’-এর হাত ধরে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু রাজুর। তারপর হাতেখড়ি হয়েছে অভিনয়ও। ২০০৫ সালে গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জে অংশ নেন তিনি। এই শো থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছন তিনি। মেলে জাতীয় স্তরের স্বীকৃতিও। 

Ishanee Dhar | Published : Sep 21, 2022 8:38 AM IST

২১ সেপ্টেম্বর হাজার হাজার ভক্তদের কাঁদিয়ে চির বিদায় নিলেন 'হাসির বাদশা' রাজু শ্রীবাস্তব। উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে আসা অটো চালক থেকে পেয়েছেন ‘কিং অফ কমেডি’-র শিরোপা। দীর্ঘ ৪২ বছরের কমেডি জীবনের বন্ধুর পথে সঙ্গী কেবল মনের জোর আর দু'চোখ ভরা স্বপ্ন। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মিলেছে জনপ্রিয়তা। ব্যর্থতা, দারিদ্রর মধ্যেও আমৃত্যু মানুষকে হাসিয়ে গিয়েছেন রাজু। 

১৯৮০ সালে প্রথম কমেডির দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন রাজু। টি টাইম মনোরঞ্জন’-এর হাত ধরে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু রাজুর। তারপর হাতেখড়ি হয়েছে অভিনয়ও। ২০০৫ সালে গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জে অংশ নেন তিনি। এই শো থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছন তিনি। মেলে জাতীয় স্তরের স্বীকৃতিও। 

২০০৫ সালের পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি রাজু শ্রীবাস্তবকে। কেরিয়ারে উন্নতির পাশাপাশি উন্নতি করেছিলেন আর্থিক দিকেও। সূত্রের খবর এক একটি শো-এর জন্য কয়েক লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন রাজু। রিপোর্ট অনুযায়ী রাজুর ফেলে যাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। এছাড়া রয়েছে বাড়ি, গাড়ি। উল্লেখ্য রাজুর কাছে একটি বিলাসবহুল অডি Q7 গাড়িও ছিল। 

আরও পড়ুন - অবশেষে থামল দীর্ঘদিনের লড়াই, জীবনযুদ্ধে হেরে ৫৮ বছরে প্রয়াত হলেন রাজু শ্রীবাস্তব 

১৯৬৩ সালে কানপুরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রাজুর। মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্ম হয়নি রাজুর, প্রতি পদে সাফল্যের ছোঁয়া পেতে পেরোতে হয়েছে দুর্গম পথ। রাজুর বাবা রমেশ চন্দ্র শ্রীবাস্তব ওরফে বলাই কাকা ছিলেন একজন কবি। অটো চলিয়ে কোনও মতে দিন গুজরান হত তাঁদের। তবে শিল্পী সত্ত্বা বড় বালাই। পেটের খিদে না মিটলেও মিটত মনের খিদে। বলাই কাকার কবিতা শুনতে পালাগানের মতো কবিতা শোনার আসর বসত প্রায়শই। গুণী ব্যক্তিরা ভিড় জমাতেন সেখানে। বাবার থেকে সেই শিল্পীসত্ত্বা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন রাজু। তবে ঠিক কবিতা নয়, রাজুর টান ছিল হাস্যরসেই। ছোট থেকেই সফল কমেডিয়ান হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। স্বপ্ন ছিল মায়ানগরীতে পাড়ি দেওয়ার, স্বপ্ন ছিল উত্তরপ্রদেশের ছোট শহর থেকে বি-টাউনের একজন হয়ে ওঠার। 

আরও পড়ুন - এখনও ভেন্টিলেটরে রয়েছেন রাজু , কতটা সুস্থ হয়ে উঠলেন কমেডিয়ান, মিরাকেলের অপেক্ষায় পরিবার

পরিকল্পনা মাফিকই এগোচ্ছিল জীবন। গোল বাঁধল অন্য জায়গায়। খ্যাতনামা কবির ছেলে কিনা শেষে 'লোক হাসাবে'?
তবু স্বপ্নের টানে সমস্ত প্রতিকূলতার বেড়া ভেঙে এগিয়ে গিয়েছিলেন রাজু। ১৯৮০ সাল নাগাদ প্রথম কমেডির দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। তারপর শুরু হয় সংগ্রামের পথে। বি-টাউনের আলোর নিচে নিজের জায়গা করে নেওয়ার লড়াই। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে কমেডিয়ানন হওয়ার স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। 

আরও পড়ুন - চিকিৎসার সামান্য উন্নতি, ধীরে ধীরে হাত পা নেড়ে কথা বলারও চেষ্টা করছেন কমেডিয়ান রাজু

Share this article
click me!