ব্রিটেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছুঁই ছুঁই পরিস্থিতি সামলাতে ১ বছরের জন্য লকডাউনের চিন্তাভাবনা ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত চলতে পারে লকডাউন এমনই ইজ্ঞিত দিয়ে রাখলেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে প্রছথম সারিতে রয়েছে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য। বর্তমানে ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ছুঁই ছুঁই। সরকারি ভাবে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে ৯৮,৪৭৬ জনের শরীরে। মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি। আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন স্বয়ং সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স চার্লস। এই অবস্থায় মারণ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত দেশে লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার কথাই ভাবছে প্রশাসন। এমন ইজ্ঞিতই দিলেন স্বয়ং দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাদাইন ডরিস।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত লকডাউন না ওঠানোর পক্ষেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। বুধবার রাতে তিনি টুইট করে জানান, "সম্পূর্ণভাবে লকডাউন খুলে দেওয়ার একটা উপায় আছে, আর সেটা হলো ভ্যাকসিন খুঁজে পাওয়ার পর। ততদিন পর্যন্ত আমাদের সমাজের মানুষদের মানিয়ে নিতে পারার উপায় বার করতে হবে এবং সমাজে ভারসাম্যতা বজায় রাখতে হবে।"
তবে কবে নাগাদ করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিতভাবে বিজ্ঞানিরা কিছু বলতে পারেননি। বিজ্ঞানিরা বলছেন, ভ্যাকসিন আসতে এখনো এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে।
এদিকে ইউরোপের তিন করোনা আক্রান্ত দেশ স্পেন, ইতালি ফ্রান্সে কিছুটা হলেও দৈনিক মৃতের সংখ্যা কমছে। ফলে ইউরোপ করোনায় কম ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলি গৃহবন্দি থাকার নির্দেশিকা শিথিল করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। এই অবস্থায় ব্রিটেনে বাড়ির থাকার নির্দেশিকা করে উঠবে সে বিষয়ে পরিকল্পনা প্রকাশের জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার কমে আসলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এর মাঝেই আপাতত ব্রিটেনে নতুন করে তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে।