পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: খুন নাকি আত্মহত্যা? যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে আদালতে পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানাল সিবিআই। স্রেফ পলিগ্রাফ টেস্ট-ই নয়, মৃতের বন্ধুর ব্রেন এলেক্ট্রাইক্যাল সিগনেচার প্রোফাইল টেস্ট ও নারকো অ্যানালিসিসও করতে চান তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: করোনা কাড়ল প্রাণ, প্রয়াত পানিহাটী পৌরসভার প্রশাসক
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে, পুজোর সময়। বর্ধমান শহরের তেজগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কৌশিক রায়। ২৬ সেপ্টেম্বর এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমানেরই শক্তিগড়ের বড়শুলে এলাকায় ঠাকুর দেখতে যান তিনি। জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন দুই বন্ধু। গুরুতর আঘাত লাগে কৌশিকের। প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে, পরে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই মারা যান কৌশিক রায়। আর তাঁর বন্ধু? দুর্ঘটনার সামান্য়ই আঘাত পেয়েছিলেন ওই যুবক। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অগ্নিগর্ভ আরামবাগ, বোমাবাজিতে প্রাণ গেল তৃণমূল কর্মীর
কৌশিকের মা-এর অভিযোগ, দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনমাফিক ছেলেকে খুন করা হয়েছে। বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নামেন সিআইডি-এর গোয়েন্দারা। কিন্তু সেই তদন্তের সন্তুষ্ট ছিলেন না মৃতের পরিবারের লোকেরা। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতেই তদন্তভার তুলে দেয় আদালত। আর এবার ঘটনার দিন যাঁর সঙ্গে ঠাকুর দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন কৌশিক, তাঁর সেই বন্ধুর পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য বর্ধমানের সিজেএম আদালতে আবেদন জানালেন সিবিআই-র তদন্তকারীরা।