করোনা পরিস্থিতিতে একটানা ২ বছরের ওয়ার্ক ফর্ম। আগামী দিনেও এই পদ্ধতিতে কাজ করতে চান কর্মীরা। চারটি মহাদ্বীপের একশো জনের বেশী কার্যকরি আধিকারিক এবং মানব সম্পদ আধিকারিকদের থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করেই এই সমীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করেছে টেক ট্যালেন্ট আউটলুক।
অতিমারি কোভিড পরিস্থিতির (Covid 19) জেরে যেমন অনলাইন ক্লাসের চাহিদা বেড়েছে, তেমনই অফিসগুলোতেও বাড়ি বসে কাজের বা ওয়ার্ক ফর্ম হোম (Work From Home) বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলা যায়। অফিসের জন্য ট্রেন ধরার তাড়া নেই, আবার ভিড় ঠেলে বাড়ি ফেরারও কোনও ব্যাপার নেই। তাই ঘরে বসে কাজ করার (Work From Home) এই বিষয়টাকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে সিংহভাগ কর্মচারী। ছোট-বড় বিভিন্ন সংস্থা এখন ওয়ার্ক ফর্ম হোমের (Work From Home) ওপর আস্থা রাখছে। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের জেরে অনেক কিছুতে বদল এসেছে। সেই সকল অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মাঝে একটি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, একশো ভাগের মধ্যে প্রায় ৮২ ভাগ চাকুরিজীবী মানুষ ঘরে বসে কাজ করাকেই (work From Home) ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিচ্ছেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে (Covid 19) ভিড় এড়াতে এবং দূরত্ব বজায় রাখতেই কর্মজীবনের এই নতুন অধ্যায়কে জারি রাখতে চাইছেন কর্মীরা (Employee)। উল্লেখ্য, বিগত দুবছরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home) কিন্তু একটা ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। আর এই নতুন ট্রেন্ডরে একেবারে চেটেপুটে উপভোগ করছেন কর্মীরা। প্রসঙ্গত, টেক ট্যালেন্ট আউটলুক (Tech Talent Outlook)-এর রিপোর্ট থেকেই এই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানা গিয়েছে। চলতি বছরে চারটি মহাদ্বীপের একশো জনের বেশী কার্যকরি আধিকারিক এবং মানব সম্পদ আধিকারিকদের থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করেই এই সমীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করেছে টেক ট্যালেন্ট আউটলুক (Tech talent Outlook)।
সমীক্ষায় সামিল ৬৪ শতাংশ আধিকারিকরা বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বসে কাজ করার কোনও বিকল্প হয় না এবং কাজের প্রোডাক্টিভিটিও অনেক ভালো হয় বলে দাবি করা হয়েছে। আবার ৮০ শতাংশের বেশী আধিকারীকরা আবার বলছেন, এই মুহুর্তে ওয়ার্ক ফর্ম হোমের চাহিদা বাড়ায় অফিসে বসে কাজ করার কর্মী পাওয়া দায়। ৬৭ শতাংশের বেশী সংস্থাও সেই একই বক্তব্য পেশ করে বলেছেন এই পরিস্থিতিতে অফিসে এসে কাজ করার কর্মী খুঁজলেও পাওয়া মুশকিল হচ্ছে। বলা বাহুল্য, আইটি সেক্টরের কর্মচারীরা তো বাড়ি বসেই কাজ করতে চাইছে। তারা ওয়ার্ক ফর্ম হোম পরিষেবাই আগামী দিনে পেতে চাইছেন। কিন্তু কোম্পানিগুলো আবার ওয়ার্ক ফর্ম হোমে খুব একটা স্বস্তি বোধ করছে না। সংস্থায় নতুন প্রতিভা নিয়োগ করার ক্ষেত্রেও নাকি সমস্যা তৈরি হচ্ছে, আবার নতুন ট্যালেন্টের সঙ্গে পুরনো যে সমস্ত কর্মী কাজ করছেন তাঁদের দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি করতে যথেষ্ঠ চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে আইটি কোম্পানি গুলোকে।
আরও পড়ুন-ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সময় এই পাঁচ অভ্যেস ত্যাগ করুন, জেনে নিন কী কী কাজ ভুলেও করবেন না
আরও পড়ুন-Work From Home: শিফটের পর কর্মীকে ফোন-মেজেস করতে পারবেন না বস, নয়া নিয়ম এই দেশে
আরও পড়ুন-ওয়ার্ক ফ্রম হোমেও শিফটের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব, জেনে নিন কীভাবে
ওয়ার্ক ফর্ম হোম বা বাড়ি বসে কাজের সংস্থার মালিক আর কর্মী দুইয়ের মধ্যেই একটা নমনীয়তা বজায় রয়েছে বলে মনে করছেন সাইকির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও করুণজিত কুমার ধীর। তিনি ওয়ার্ক ফর্ম হোমের এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিগত দুবছরে কর্মী আর মালিকের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার ক্ষেত্রে দুই তরফই লাভবান হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের দূরত্বের ফলে মালিক-কর্মচারীর সম্পর্কের মধ্যে একদম নতুন ধরনের নমনীয়তা তৈরি হয়েছে।